
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ে একটি ভুয়ো পোস্ট শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, ফিলিস্তিনি-ইজরায়েল সংঘর্ষের ছবি তোলার সময় ক্যামেরাম্যান কেঁদে ফেললেন। পোস্টে দেখা যাচ্ছে চারটি ছবির একটি কোলাজ রয়েছে। তিনটিতে দেখা যাচ্ছে একজন ক্যামেরা হাতে একজনের চোখ থেকে জল পড়ছে এবং চতুর্থটি হল সম্প্রতির ফিলিস্তিনি-ইজরায়েল সংঘর্ষের একটি ছবি। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “ফিলিস্তিনি মুসলমানদের উপর হামলা চালানোর সময়,, ছবি তুলতে থাকা এই ক্যামেরাম্যান ও কেঁদে ফেললেন😥😥 আল্লাহ তুমি ওদেরকে হেফাজত নসিব করো।“
তথ্যব যাচাই করে আমরা দেখতে পেয়েছি এই দাবি বিভ্রান্তিকর এবং ভিত্তিহীন। ২০১৯ সালের একটি ছবিকে সম্প্রতির ইজরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘর্ষের সাথে যুক্ত করে ভুয়ো পোস্ট ভাইরাল করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ফের ইজরায়েল ও ফিলিস্তিনের বহু প্রাচীন সংঘর্ষের আগুন জ্বলে উঠেছে। এবার ঘটনাস্থল জেরুজালেমের আল-একসা মসজিদ। ইতিমধ্যেই সংঘর্ষ রীতিমতো বড় আকার ধারণ করেছে দুপক্ষের মধ্যে। একে অপরের দিকে নিশানা করে চলে রকেট নিক্ষেপ। সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ৬৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যার মধ্যে ১৭ জন শিশু এবং আট জন মহিলা। অন্যদিকে, হামাসের রকেট হামলায় দুজন ইজরায়েলি প্রান হারিয়েছে যার মধ্যে একজন ভারতীয় বলে জানা গিয়েছে।
তথ্য যাচাই
গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ট্রল ফুটবল নামে একটি ওয়েবসাইটে এই ছবিটি দেখতে পাই। ২০১৯ সালের এই প্রতিবেদন থেকে জানতে পারি, এশিয়ান কাপের কাতারের বিরুদ্ধে হেরে যাওয়ার পর ইরাকি চিত্রগ্রাহক কেঁদে ফেলে।

এরপর প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড সার্চ করে দেখতে পাই ‘এশিয়ান কাপ’-এর অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে ২০১৯ সালের ২৪ জানুয়ারি এই ছবি শেয়ার করা হয়েছে। টুইটের ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “রাউন্ড ১৬-এর খেলায় কাতারের বিরুদ্ধে হেরে যাওয়ার পর আবেগি হয়ে পড়ে ইরাকি চিত্রগ্রাহজ। #AsianCup2019”।
ভাইরাল পোস্টে ব্যবহৃত চিত্রগ্রাহকের তিনটি ছবিই ‘ফুটবল টুইট’ নামে একটি টুইটার হ্যান্ডেল থেকে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারি শেয়ার করা হয়েছে।
নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুয়ো। ২০১৯ সালের একটি ছবিকে সম্প্রতির ইজরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘর্ষের সাথে যুক্ত করে ভুয়ো পোস্ট ভাইরাল করা হচ্ছে।

Title:২০১৯ সালের ছবিকে ইজরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘর্ষের জুড়ে ভুয়ো পোস্ট ভাইরাল
Fact Check By: Rahul AResult: False