না, শরীরের রঙ বা স্কিন টোনের ওপর ভিত্তি করে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে কোনও নামাঙ্কন হয়না

False Social

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে একটি ছবি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, পৃথিবীর সবচেয়ে কালো ত্বকের অধিকারী হসেবে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন সুদানি মডেল নায়াকিম গাতওয়েচ। পোস্টে দেখা যাচ্ছে, কালো কুচকুচে ত্বকের অধিকারী একজন মহিলা পেপার হাতে নিয়ে একটি বিছানায় বসে রয়েছে। ছবির ওপরে লেখা রয়েছে, “এটি কালো পাথর বা গ্রানাইটের শিল্পকর্ম নয়। তিনি সুদানী মডেল নায়াকিম গাতওয়েচ। বিরল কালো সৌন্দর্য। তিনি পৃথিবীতে দেখা সবচেয়ে অন্ধকার ত্বকের জন্য গিনেস বুক অফ অয়ার্ল্ড রেকর্ডে প্রবেশ করেছেন। তিনি অন্ধকারের রানী নামে পরিচিত।”   

তথ্য যাচাই করে আমরা জানতে পারি পোস্টের মাধ্যমে করা দাবি ভিত্তিহীন। শরীরের রঙের ওপর ভিত্তি করে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে কোনও নামাঙ্কন হয়না। 

ফেসবুক পোস্ট আর্কাইভ 

তথ্য যাচাই

এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে গুগলে প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড সার্চ করি। ফলাফলে নায়াকিম গাতওয়েচ নামের একটি উইকিপিডিয়া পেজের অনুসন্ধান পাই। জানতে নায়াকিম গাতওয়েচ হলেন দক্ষিণ সুদানিসের আমেরিকাবাসী একজন মডেল। ত্বকের রং গাড় কালো হওয়ায় সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম ইন্সতাগ্রামে তার খুব জনপ্রিয়তা রয়েছে। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের ব্যাপারে কোনরকম তথ্য পাওয়া যায়না ইউকি পেজে।

উইকিপিডিয়া আর্কাইভ 

এরপরে আমরা খুঁজে দেখার চেষ্টা করি, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে শরীরের ত্বক বা অঙ্গ কালো হওয়ার জন্য কোনও বিভাগ আছে কিনা। এজাতীয় কোনও রেকর্ডের বিষয়ে কোনও তথ্যই পাওয়া যায়না। শরীরের অঙ্গ বা ত্বক কালো হওয়ার জন্য এখনও অবধি কোন নাম নতিভুক্ত করা হয়নি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বুকে।  

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ওয়েবসাইট আর্কাইভ 

এরপর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে খুঁজে দেখার চেষ্টা করি, সম্প্রতি শরীরের রঙের ভিত্তিতে রেকর্ডের কোনও নতুন বিভাগের সম্পর্কে কোনও পোস্ট বা ঘোষণা করা হয়েছে কিনা। ‘গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড’-এর অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে এই সম্পর্কিত একটি টুইট খুঁজে পাই। ২৮ এপ্রিল, ২০২০, তারিখে পোস্ট করা এই টুইটে জানানো হয়, “গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড স্কিন টোনে বা ত্বকের রঙের জন্য কোনও রেকর্ড নিরীক্ষণ করে না।” 

আর্কাইভ

এই টুইটের নীচে কমেন্ট সেকশনে একজন টুইটার ইউজার একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করে জানায়, মডেল নায়াকিম গাতওয়েচ এই ব্যাপারে অবগত নন। 

টুইট আর্কাইভ 

তথ্য ও প্রমানের সাপেক্ষে স্পষ্টভাবে বলা যায়, পৃথিবীর সবচেয়ে কালো ত্বকের অধিকারী হওয়ায় হিসেবে নায়াকিম গাতওয়েচ গিনেস রেকর্ডে নামাঙ্কিত হয়নি। 

নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুল ও ভিত্তিহীন। শরীরের রঙের ওপর ভিত্তি করে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে কোনও নামাঙ্কন হয়না।

Avatar

Title:না, শরীরের রঙ বা স্কিন টোনের ওপর ভিত্তি করে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে কোনও নামাঙ্কন হয়না

Fact Check By: Nasim A 

Result: False


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *