আর জি কর কাণ্ডকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলোতে একধরনের ভুয়ো খবরের বন্যা নেমেছে। সম্প্রতি একটি ভিডিও শেয়ার করে সেটিকে আর জি কর হাসপাতালের ভিডিও বলে দাবি করা হচ্ছে। ভিডিওতে কয়েকজন ব্যাক্তিকে একটি স্ট্রেচার টানতে এবং তার সামনে বয়স্ক একজন ব্যাক্তি কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে আসতে দেখা যাচ্ছে। হাসপাতালের করিডোর গুলোতে ডাক্তার ও নার্সরা ‘গার্ড অফ অনার’ দেওয়ার মত সারিবদ্ধ ভাবে দাড়িয়ে আছে।

তথ্য যাচাই করে আমরা পেয়েছি দাবিটি ভুয়ো। বিশাখাপত্তনমের পুরনো ভিডিওকে আর জি কর কাণ্ডের সাথে জুড়ে শেয়ার করা হচ্ছে।

ফেসবুক পোস্ট

তথ্য যাচাইঃ

এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে ভিডিওর কি ফ্রেমগুলোকে গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চ করি। ফলে, ভাইরাল এই ভিডিওকে ঘিরে দৈনিক ভাস্করের একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। ১ জুন,২০২৪, তারিখের এই প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজস্থানের জালোর জেলার বাসিন্দা ব্যাবসার খাতিরে পুরো পরিবার নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম থাকতো। ২৯ মে তারিখে প্রবীন মেহতার ছেলে বিপিন মেহতা তার দোকান থেকে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন। এরপর তিনি সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন এবং মাথায় গুরুতর আঘাত পান। তারপর, তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং সেখানে দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ১ জুন তার মৃত্যু হয়। বিপিন মেহতার মৃত্যুর পর তার বাবা প্রবীণ মেহতা এবং মা ঊষা তার অঙ্গ দান করার সিদ্ধান্ত নেন। পরিবারের এই সিদ্ধান্তে বিশাখাপত্তনম হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মীরা বিপিনের মরদেহকে গার্ড অফ অনার দিয়েছিলেন।

প্রতিবেদন আর্কাইভ

‘নিউজ১৮ হিন্দি’র প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য পাওয়া যায়।

নিউজ১৮ প্রতিবেদন আর্কাইভ

নিষ্কর্ষঃ

তথ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে ফ্যাক্ট ক্রিসেণ্ডো এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, ভিডিওটির সাথে কলকাতার ধর্ষিতা বা তার পরিবারের কোনো সম্পর্ক নেই।

Avatar

Title:বিশাখাপত্তনমের পুরনো ভিডিওকে আর জি কার কাণ্ডের বলে দাবি করে শেয়ার

Written By: Nasim A

Result: False