
তুরস্ক এবং সিরিয়ার ভূমিকম্পে প্রায় চার হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। ভারত সহ একাধিক দেশ তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। চলতি মাসের ৬ ফেব্রুয়ারি তারিখে এই ঘটনা ঘটার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ভিডিও ও ছবি পোস্ট করে সেগুলিকে ভুমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্কের দৃশ্য বলে দাবি করা হচ্ছে। এমনই একটি ছোট মেয়ের কান্নার ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করে সেটিকে তুরস্কের ঘটনা বলে দাবি করা হচ্ছে। ভিডিওটি শেয়ার করে একজন ক্যাপশনে লিখেছেন, “Turkey 😭🤲🏻 #Turkey #তুরস্ক #Turkey #তুর্কি #তুরস্ক #Turosko #ভূমিকম্প #Vumikompo।”
তথ্য যাচাই করে আমরা দেখতে পেয়েছি এই দাবি সত্য নয়। যুদ্ধ শরণার্থী মেয়ের কান্নার পুরনো ভিডিওকে তুরস্কের ঘটনা দাবি করে ভুয়ো পোস্ট শেয়ার করা হচ্ছে ।
তথ্য যাচাই
ভাইরাল এই ভিডিওর তথ্য যাচাই করতে আমরা গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চ করি। ফলাফলে, ২০২০ সালের একট ফেসবুকে পোস্টে এই ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়। কোরআন দ্য সোলিউশন ফর হিউম্যানিটি নামের একটি ফেসবুকে পেজে এই ভিডিওটি ২০২০ সালের ২৮ এপ্রিল শেয়ার করা হয়। এখান থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় যে ভাইরাল ভিডিওর সাথে তুরস্কের ভূমিকম্পের কোনও সম্পর্ক নেই।
স্টক ছবির সংস্থা ‘সাটার স্টক’-এর ওয়েবসাইটে এই ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়। এটি কবে তোলা হয়েছিল বা কোথাকার সেই বিষয়ে কোনরকম তথ্য দেওয়া হয়নি। এই ছবির ক্রেডিট দেওয়া হয়েছে সারগেই শুবিন নামের একজন চিত্রগ্রাহককে। ভাইরাল ভিডিওর ছোট মেয়েটির কিছু ছবিও আমর এই ওয়েবসাইটে খুঁজে পাই।
পন্ড ৫ নামে আরও একটি স্টক ছবির ওয়েবসাইটে এই ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায় যেখানে মেয়েটিকে যুদ্ধ শরণার্থী বলা হয়। এই ওয়েবসাইটেও ছবির ক্রেডিট সারগেই শুবিন নামের চিত্রগ্রাহককেই দেওয়া হয়।
পোস্টের ভিডিওটি কোথায় এবং ঠিক কবে তোলা হয়েছিল তা আমরা যাচাই করতে পারিনি। তবে আমরা নিশ্চিত যে ভাইরাল ভিডিওর সাথে তুরস্কের ভূমিকম্পের কোনও সম্পর্ক নেই।
নিষ্কর্ষঃ
তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেণ্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুয়ো। যুদ্ধ শরণার্থী মেয়ের কান্নার পুরনো ভিডিওকে বিভ্রান্তিকর দাবির সাথে শেয়ার করা হচ্ছে।

Title:পুরনো একটি ভিডিওকে তুরস্ক ভূমিকম্পের পর একটি মেয়ের কান্নার ভিডিও বলে ভুয়ো দাবি করা হচ্ছে
Fact Check By: Nasim AResult: False