সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে এক যুবতির গান গাওয়ার ভিডিওকে শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে যে এই যুবতি মারা গেছে। পোস্টের এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে এক সুশ্রী যুবতি হসপিটালের বিছানায় শুয়ে শুয়েই নচিকেতার গান ‘ডাক্তার ও ডাক্তার’ গানটি গাইছেন। ভিডিওর উপরে লেখা হয়েছে,” হাসতে হসতে মারা গেলো। ডাক্তার সাহেব কে নিয়ে গান গেয়ে হাসতে হসতে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়ে গেলো।“

তথ্য যাচাই করে আমরা দেখতে পেয়েছি পোস্টের দাবিটি ভুয়ো ও বিভ্রান্তিকর। ভিডিওর যুবতি এখনও সুস্থভাবে বেঁচে রয়েছে।

ফেসবুক পোস্ট

তথ্য যাচাই

ভিডিওর সত্যতা যাচাই প্রক্রিয়া আমরা ভিডিওর কি ফ্রেম গুলোকে গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে শুরু করি। ফলে, অনেক ফেসবুক পোস্ট দেখে জানতে পারি যুবতির গান গাওয়ার এই ভিডিওটি ২০১৯ সালে প্রথম ভাইরাল হয়েছিল। সেই সময় ভাইরাল হওয়া ফেসবুক পোস্টগুলো ঘেঁটে জানতে পারি ভিডিওর মেয়েটির নাম রাপুর্না ভট্টাচার্য।

এই তথ্য ধরে ফেসবুকে রাপুর্না ভট্টাচার্য নামের এই মেয়েটির ফেসবুক প্রোফাইল খুঁজে বের করি। এই প্রোফাইলে পোস্ট করা ছবি ও গান গাওয়ার অন্যান্য ভিডিওতে শূনতে পাওয়া তার গলার সুর ভাইরাল ফেসবুকে পোস্টের মেয়েটির মুখের ধরন ও সুরের অনেক মিল পাওয়া যায়।

তার ফেসবুক প্রোফাইলের সাথে যুক্ত থাকা ইন্তাগ্রাম লিঙ্ক আমাদের রাপুর্না ভট্টাচার্যের ইন্সতা প্রোফাইলে নিয়ে যায়। তার মারা যাওয়া নিয়ে ভাইরাল ফেসবুক ভিডিওকে উল্লেখ করে দুটি স্টোরি আমরা খুঁজে পাই। সেখানে তিনি জানিয়েছেন,” আমার এই ভিডিওটি যা ২০১৯ সালে ভাইরাল হয়েছিল করুণ মিম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আধুনিক ডাক্তার নিয়ে আমার গাওয়া গানটিকে বিদ্রুপের সাথে শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে যে আমি মারা গেছি। ইহা একটি হাস্যকর ব্যাপার। এটা আরও হাস্যকর হত যদি এটি সত্যি হত কারন আমি এখনও সুস্থভাবে বেঁচে আছি।“ বিভ্রান্তিকর দাবির সাথে ভাইরাল ফেসবুক ভিডিওর কমেন্ট সেকশনে তাকে মেনশন করতে এবং ভিডিওর বিরুদ্ধে রিপোর্ট করার আর্জিও করেছেন।

দ্বিতীয় স্টোরিতে লিখেছেন,” যে পোস্টটি ইতিমধ্যে আপনাদের কমেন্টে প্লাবিত হয়েছে, আমি এখানে যে ভালবাসা পেয়েছি তাতে আমি অভিভূত।“

তার একটি ইউটিউব চ্যানেলও রয়েছে যেখানে তার গাওয়া বেশ কিছু গানের ভিডিও আপলোড করা রয়েছে। চ্যানেলটি দেখতে ক্লিক করুন এখানে।

নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেণ্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি বিভ্রান্তিকর। মেয়েটির নাম রাপুর্না ভট্টাচার্য। তিনি এখন সুস্থভাবে বেঁচে রয়েছে।