
একটি ১৭ সেকেন্ডের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে এটি পশ্চিমবঙ্গের ঘটনা। এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একটি ছোট বাচ্চা হাসপাতালের স্ট্রেচার ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা আছে, “গণতন্ত্র আজ বিপন্ন তাই বাংলায় এরকম দৃশ প্রকাশ পায়।“
ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো তথ্য যাচাই করে দেখেছে এই দাবিটি ভুয়ো।
তথ্য যাচাইঃ ছবিটিকে কয়েকটি ফ্রেমে ভেঙে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে আমরা ভিডিওটি টুইটারে দেখতে পাই কিন্তু এটি কোথাকার ঘটনা তা স্পষ্ট হয়না। ভিডিওটির ওপরে ডানদিকে হিন্দি ও ইংরেজি ভাষায় লেখা রয়েছে দেওরিয়া ইউপি।
এই লেখাটি দিয়ে গুগলে কিওয়ার্ড সার্চ করে ‘মিরর নাও’ নামে একটি ইংরেজি সংবাদমাধ্যমের ইউটিউব চ্যানেলে এই ভিডিওটি খুঁজে পাই। ওই ভিডিও থেকে জানতে পারি, এটি উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়ার ঘটনা। স্ট্রেচারে রয়েছে এই বাচ্চাটির অসুস্থ দাদু। ৩০ টাকা দিতে না পারায় তার মা আর এই একরত্তি দাদুর স্ট্রেচারকে এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে।
এই ঘটনার ওপর লেখা একটি প্রতিবেদনও পাই আমরা। সেখান থেকে ব্যাপারটি আরও পরিষ্কার হয়। এই প্রতিবেদন (আর্কাইভ) অনুযায়ী, “বাড়িতে পড়ে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন এই বাচ্চাটির দাদু। দু-দিন আগে হাসপাতালের সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় তাঁকে। বাবাকে দেখতে রবিবার হাসপাতালে যান মেয়ে। বাড়িতে কেউ না থাকায় ছ’বছরের সন্তানকে সঙ্গে করেই নিয়ে আসতে হয়েছিল। ওয়ার্ড বয় স্ট্রেচার ঠেলার জন্য ৩০ টাকা নেয়। সেই ৩০ টাকা না দিতে পারায় এই খুদে ও তার মাকে অসুস্থ দাদু স্ট্রেচার ঠেলতে হয়।“
টুইটারে আমরা দেওরিয়ার জেলাসাশক অমিত কিশোরের স্টেটমেন্ট খুঁজে পাই। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, চেদি যাদব নামে ওই অসুস্থ ব্যক্তির পরিবারের সাথে তিনি নিজে কথা বলেছেন। হাসপাতালের অভিযুক্ত ওয়ার্ড বয়কে সাসপেন্ড করা হয়েছে এবং একটি টিম গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো মহকুমা শাসক (এসডিও) জিতেন্দ্র পান্ডের সাথে যোগাযোগ করে। তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওটি দেওরিয়া জেলা হাসপাতালের ঘটনা। এই বাচ্চাটি তার মায়ের সাথে গিয়েছিল দাদুকে দেখতে। এই ঘটনার যথাযথ ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি নিশ্চিত করেন এটি পশ্চিমবঙ্গের ঘটনা নয়।
ফলাফলঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুল। এটি পশ্চিমবঙ্গের দৃশ্য নয়। উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়া জেলা হাসপাতালের ঘটনা এটি। ৩০ টাকা দিতে না পারায়। এই খুদে ও তার মা স্ট্রেচারে করে তার অসুস্থ দাদুকে এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে নিয়ে যাচ্ছে।

Title:উত্তর প্রদেশের হাসপাতালের ভিডিওকে পশ্চিমবঙ্গের দাবি করে শেয়ার
Fact Check By: Rahul AResult: False