সিংহ দ্বারা একটি ভলুক বাচ্চা তাড়া করার একটি ভিডিও সম্প্রতি সোশাল মিডিয়া ফেসবুকে শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে যে ভিডিওটি গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের জন্য মনোনীত হয়েছে। ৩;৩২ মিনিটের এই ভিডিওতে একটি ভালুকের বাচ্চা সিংহের খপ্পর থেকে সাহস করে পালিয়ে যাচ্ছে। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, “এই ভিডিওটি সম্প্রতি গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে মনোনীত হয়েছে — ভিডিওগ্রাফারের পেশাদারিত্ব দেখুন।“

তথ্য যাচাই করে আমরা দেখতে পেয়েছি এই দাবি ভুয়ো এবং বিভ্রান্তিকর। পোস্টের এই ভিডিও ক্লিপটি ১৯৮৮ সালে মুক্তি পাওয়া L’Ours নামের ফরাসি চলচিত্রের দৃশ্য। L’Ours চলচিত্রটি ’দ্য বিয়ার’ নামে ইংরেজি ভাষায় মুক্তি পেয়েছিল। চলচ্চিত্রটি মর্যাদাপূর্ণ পুরষ্কার অনুষ্ঠানে মনোনয়ন অর্জন করেছিল ঠিকই কিন্তু গিনেস রেকর্ডের জন্য মনোনীত হয়নি।

ফেসবুক পোস্ট

তথ্য যাচাই

এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে ভিডিওটিকে ইনভিড টুলের মাধ্যমে কিফ্রেমে ভেঙ্গে গুগল রিভার্স ইমেজ করি। ফলে, হুবহু ভাইরাল পোস্টের ভিডিওটি একটি একটি ইউটিউব চ্যানেলে পেয়ে যায়। ৩১ অক্টোবর,২০০৭, তারিখে আপলোড করা এই ভিডিওটিকে ১৯৮৮ সালে মুক্তি পাওয়া L’Ours চলচিত্রের দৃশ্য বলে জানানো হয়েছে।

জিন-জ্যাক অ্যানাউড পরিচালিত এই চলচিত্রটি ছিল ফরাসি ভাষায় এবং ’দ্য বিয়ার’ নামে ইংরেজি ভাষাতেও মুক্তি পেয়েছিল চলচিত্রটি। ৯৪ মিনিটের এই চলচিত্রটি অলিভার কারউডের বই "দ্য গ্রিজলি কিং" এর উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছিল।

গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের ওয়েবসাইটে এই চলচিত্রের মনোনীত হওয়ার কোন তথ্যই পাওয়া যায়না।

'দ্য বিয়ার' চলচ্চিত্রটি একাডেমি, বাফটা সহ অন্যান্য মর্যাদাপূর্ণ বিভিন্ন পুরস্কারে বিভিন্ন বিভাগে মনোনীত হয়েছিল। চলচ্চিত্রটিকে ১৯৯০ সালের জেনেসিস পুরস্কারেও সম্মানিত করা হয়েছিল কিন্তু তা কখনও গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের জন্য মনোনীত হয়নি।

নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিস্যান্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুয়ো ও বিভ্রান্তিকর। পোস্টের এই ভিডিও ক্লিপটি ১৯৮৮ সালে মুক্তি পাওয়া L’Ours নামের ফরাসি চলচিত্রের দৃশ্য। L’Ours চলচিত্রটি দ্য বিয়ার নামে ইংরেজি ভাষায় মুক্তি পেয়েছিল। চলচ্চিত্রটি মর্যাদাপূর্ণ পুরষ্কার অনুষ্ঠানে মনোনয়ন অর্জন করেছিল ঠিকই কিন্তু গিনেস রেকর্ডের জন্য মনোনীত হয়নি।

Avatar

Title:সিংহ দ্বারা ভলুক বাচ্চা তাড়া করার এই ভিডিওটি গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের জন্য মনোনীত হওয়ার দাবিটি মিথ্যে

Fact Check By: Nasim Akhtar

Result: False