হিন্দু হওয়াই ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে আন্না রানি দাসকে? জানুন ভাইরাল দাবির সত্যতা

Communal Misleading

সম্প্রপ্তি এক মহিলার মৃত দেহের ছবি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জের বাসিন্দা এই মহিলার নাম আন্না বালা দাস। হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়াই তাকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। 

পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়েছে,”সম্প্রপ্তি এক মহিলার মৃত দেহের ছবি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, বাংসিরাজগঞ্জ, বাংলাদেশে ৬০ বছর বয়সী এক হিন্দু মহিলা, আন্না বালা দাসকে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়েছে। তার একমাত্র অপরাধ? সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একজন মহিলা হওয়া। #HindusUnderAttackInBangladesh #religiouspersecution #SaveBangladeshiHindusলাদেশের সিরাজগঞ্জের বাসিন্দা এই মহিলার নাম আন্না বালা দাস। হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়াই তাকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে।“ 

তথ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি দাবিটি বিভ্রান্তিকর। নিহত নারীর হত্যাকাণ্ডে কোনো ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক কারণ ছিল না। অভিযুক্ত তাপস দাস নিজেও হিন্দু ধর্মাবলম্বী। 

ফেসবুক পোস্ট আর্কাইভ 

তথ্য যাচাইঃ 

এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে আমরা গুগলে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চ করি। ফলস্বরুপ, ‘bangladeshinsights’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, মৃত মহিলার নাম আন্না বালা দাস। স্বামী, বিজেন্দ্র চন্দ্র দাস। সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা ইসলামি উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের একটি পুকুর পাড়ে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর করে স্থানীয়রা। 

প্রতিবেদন আর্কাইভ 

‘আরটিভি’, ‘যুগান্তর’, ‘সমকাল’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১১ অক্টোবর ভোরে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের পুকুরপাড় থেকে গ্রামপুলিশ আন্না রানীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় আন্নার মেয়ে ধ্রুপদী দাস অজ্ঞাতদের আসামি করে সলঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। আন্না রানী ছিলেন ভরমোহনী দাসপাড়া গ্রামের মৃত বিজেন চন্দ্র দাসের স্ত্রী। ঘটনার দিন ভোরে হাঁটার জন্য বাড়ি থেকে বের হলে, একই গ্রামের তাপস কুমার দাস তাকে কুপ্রস্তাব দেন। রাজি না হলে তিনি আন্নাকে জড়িয়ে ধরেন এবং চিৎকার করলে গলা চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। তাপস দাসকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৩ অক্টোবর সিরাজগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তিনি আন্নাকে হত্যার কথা স্বীকারও করেছে। 

বাংলাদেশ পুলিশ-এর অফিশিয়াল ফেসবুক প্রোফাইল থেকে করা এক পোস্টেও একই তথ্য জানানো হয়েছে। 

ফেসবুক পোস্ট আর্কাইভ 

বাংলাদেশ পিআইবি’র ফ্যাক্টচেক ইউনিটের তরফ থেকেও স্পষ্ট করা হয়েছে- আন্না রানী দাস হত্যা মামলায় কোনো ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক সংশ্লিষ্টতা নেই। অভিযুক্তের নাম তাপস দাস। নিহত আন্না রানী এবং অভিযুক্ত তাপস, দুজনেই হিন্দু ধর্মাবলম্বী।  

নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে ফ্যাক্ট ক্রিসেণ্ডো এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, আন্না রানী দাস হত্যা মামলায় কোনো ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক সংশ্লিষ্টতা নেই। অভিযুক্তের নাম তাপস দাস। নিহত আন্না রানী এবং অভিযুক্ত তাপস, দুজনেই হিন্দু ধর্মাবলম্বী।  

Avatar

Title:হিন্দু হওয়াই ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে আন্না রানি দাসকে? জানুন ভাইরাল দাবির সত্যতা

Fact Check By: Nasim Akhtar 

Result: Misleading

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *