আইসিস জঙ্গির ছবিকে কাশ্মীরে নিহত হিজবুল নেতা দাবি করে বিভ্রান্তকর পোস্ট শেয়ার

International Missing Context

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্য একজন জঙ্গির ছবিকে সম্প্রতি কাশ্মীরে সেনার গুলিতে নিহত সন্ত্রাসবাদী সংস্থা হিজবুল মুজাহিদিনের কমান্ডার মেহেরাজউদ্দিন হালওয়াই বলে দাবি করা হচ্ছে। প্রতিবেদনের শিরোনামে লেখা রয়েছে, “কাশ্মীরে সন্ত্রাস দমনে বড় সাফল্য ভারতীয় সেনার, এনকাউন্টারে খতম জঙ্গিনেতা হালওয়াই।“ পোস্টের ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “জম্মু ও কাশ্মীরে ভারতীয় সেনার এনকাউন্টারে খতম পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদী মেহেরাজউদ্দিন হালওয়াই।“

তথ্য যাচাই করে আমরা দেখতে পেয়েছি এই প্রতিবেদনের থাম্বনেলটি বিভ্রান্তিকর। ওমর হোসেন নামে একজন আইসিস জঙ্গির ছবিকে ভুয়ো দাবির সাথে শেয়ার করা হচ্ছে। 

ফেসবুক পোস্টআর্কাইভ

বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা এবং বেশ কয়েকটি জাতীয় সংবাদ মাধ্যমও এই ছবিটিকে মেহেরাজউদ্দিন হালওয়াই দাবি করে। 

প্রতিবেদন আর্কাইভ

তথ্য যাচাই

এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে থাম্বনেল্টটিকে ক্রপ করে গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চ করি। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম ‘বিবিসি নিউজ’-এর ২০১৫ সালের একটি প্রতিবেদন থেকে জানতে পারি, ছবির এই ব্যক্তির নাম হল ওমর হোসেন। ৭০০ জন ব্রিটিশ যারা সিরিয়া এবং ইরাকে গিয়ে জঙ্গি সংস্থায় নাম লেখায় তাদের মধ্যে একজন হলেন তিনি। ইসলামিক স্টেট (আইসিসিস)-এর সাথে যুক্ত ছিলেন ওমর। সেসময় তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় ছিলেন এবং ব্রিটিশ সরকারকে হুমকি দেন।

বিবিসি প্রতিবেদন আর্কাইভ

অন্যদিকে জানতে পারি, দক্ষিণ কাশ্মীরের হান্দওয়াড়া জেলায় এক সংঘর্ষে মারা যায় জঙ্গিনেতা মেহেরাজউদ্দিন হালওয়াই। কাশ্মীরে আইজিপি বিজয় কুমার বলেন, “সন্ত্রাস দমনে এটা বড় সাফল্য।“

কাশ্মীর পুলিশের টুইটার হ্যান্ডেলে থেকে জানানো হয়, বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনায় জড়িত ছিল হিজবুল কমান্ডার মেহেরাজউদ্দিন হালওয়াই ওরফে ওবেইদ। উপত্যকায় সবচেয়ে পুরনো জঙ্গিনেতাদের মধ্যে অন্যতম ছিল সে।

নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি বিভ্রান্তিকর। ওমর হোসেন নামে একজন আইসিস জঙ্গির ছবিকে ভুয়ো দাবির সাথে শেয়ার করা হচ্ছে।

Avatar

Title:আইসিস জঙ্গির ছবিকে কাশ্মীরে নিহত হিজবুল নেতা দাবি করে বিভ্রান্তকর পোস্ট শেয়ার

Fact Check By: Nasim A 

Result: Missing Context


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *