সম্প্রতি সোশাল মিডিয়া ফেসবুকে একটি ছবি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, চেন্নাইয়ে সাহায্যের অজুহাতে চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ল আরএসএস কর্মী। পোস্টের এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের পোশাক পরিহিত এক ব্যাক্তিকে কয়েকজন পুলিশকর্মী মিলে ধরে আছে। সাথে এও দাবি করা হয়েছে যে ছবিটি abp news-এর টুইটার হ্যান্ডেল থেকে শেয়ার করে হয়েছে। ছবির সাথে লেখা রয়েছে, “চেন্নাই: সাহায্যের অজুহাতে গয়না চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ল সংঘ কর্মীরা।“

তথ্য যাচাই করে আমরা দেখতে পেয়েছি এই দাবি ভুয়ো এবং বিভ্রান্তিকর। ২০১২ সালে উত্তরপ্রদেশের আগ্রায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ দ্বারা আয়োজিত সমাবেশের সময় সংঘ কর্মীর সাথে পুলিশে কর্মীর ধস্তাধস্তির ছবি ভুয়ো দাবির শেয়ার করা হচ্ছে।

ফেসবুক পোস্ট আর্কাইভ

তথ্য যাচাই

পোস্টের দাবির সত্যতা যাচাইয়ের উদ্দ্যেশ্যে ছবিটিকে গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চ করি। ফলে, এবিপি লাইভের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে এই ছবি কেন্দ্রিক একটি টুইট পাওয়া যায়। ২০১৫ সালের ৮ ডিসেম্বর তারিখে এই ছবি টুইট করে পোস্টের দাবি খণ্ডন করে জানানো হয়েছে, “এবিপি নিউজের বরাত দিয়ে এ ধরনের ভিত্তিহীন ও বানোয়াট খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হচ্ছে। এবিপি নিউজ আপনাকে জানাচ্ছে যে টিভি, ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারা আমাদের মাধ্যমে এমন কোনও খবর দেওয়া হয়নি। ছবিটি উত্তরপ্রদেশের এবং বহু বছরের পুরনো।“

ছবির উৎস এবং তার গল্পঃ

এক টুইটার হ্যান্ডেলে ছবিটি ২০১২ সালের ১৩ মে তারিখে টুইট করা মিলে এবং ক্যাপশনে লেখা হয়েছে,” আওলখেদা শহরে মুল্লাইয়ামের পুলিশ আরএসএস স্বেচ্ছাসেবকদের মারধর করে যখন কিছু নেতার গাড়ি তাদের সাইকেলকে ধাক্কা দেয়।“

(আর্কাইভ টুইট)

এটিকে সুত্র ধরে গুগলে প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে সংবাদমাধ্যম ’জাগরন’-এর প্রতিবেদনে এই ছবি কেন্দ্রিক প্রতিবেদন পেয়ে যায়। ৯ ডিসেম্বর,২০১৫, তারিখের এই প্রতিবেদনে বলা হয় যে, ছবিটি ২০১২ সালের। ১১ নভেম্বর, ২০১২-এ, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ৭০-৮০ জন স্বেচ্ছাসেবক আগ্রায় একটি সাইকেল সমাবেশ বের করেছিলেন। এটি আনওয়ালখেদা থেকে রামবাগ ফিরছিল। সেই সময় একটি স্করপিও গাড়ি তাদের ধাক্কা দেয়। প্রতিবাদ করায় স্করপিও আরোহী যুবকরা স্বয়ংসেবকদের মারধর করেছিল। স্বয়ংসেবকরা এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানাতে পুলিশের কাছে আসলে পুলিশ সংঘকর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করেছিল। পোস্টের এই ছবিটি সেই সময়ের।

জাগরণ প্রতিবেদন আর্কাইভ

নবভারত টাইমসের প্রতিবেদনেও একই তথ্য দেওয়া হয়েছে।

তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে প্রমানিত হয় যে, ছবিটি ২০১২ সালের এবং সোনা চুরি করতে গিয়ে ধৃত আরএসএস কর্মী দাবিটি মিথ্যে।
নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিস্যান্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুয়ো ও বিভ্রান্তিকর। ২০১২ সালে উত্তরপ্রদেশের আগ্রায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ দ্বারা আয়োজিত সমাবেশের সময় সংঘ কর্মীর সাথে পুলিশে কর্মীর ধস্তাধস্তির ছবি ভুয়ো দাবির শেয়ার করা হচ্ছে।

Avatar

Title:চেন্নাইয়ে সাহায্যের অজুহাতে চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ল আরএসএস কর্মী ? জানুন ভাইরাল ছবির সত্যতা

Fact Check By: Nasim Akhtar

Result: False