
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি ছবি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, হিজাবের প্রতিবাদে লাঠিতে কাটা চুল বেঁধে পতাকা উত্তোলন করলেন ইরানি নারীরা। পোস্টের ছবিতে লক্ষ্যনীয় জাতয় একটি দণ্ডতে কাটা চুল জাতীয় কিছুর তৈরি পতাকা করে উত্তোলন করা রয়েছে।
পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, “ইরানি মেয়েদের চুলের তৈরি পতাকা“
তথ্য যাচাই করে আমরা দেখতে পেয়েছি এই দাবি ভুয়ো এবং বিভ্রান্তিকর। পতাকাটি ২০১৪ সালে বেলজিয়ান শিল্পী এডিথ ডেকিন্ড দ্বারা ফ্রান্সের মার্টিনিক দ্বীপে পুঁতে ছবি তুলেছিলেন। ভাইরাল এই ছবির সম্প্রতি ইরানে চলমান হিজাব বিরুদ্ধ প্রতিবাদের সাথে কোন সম্পর্ক নেই।

উল্লেখ্য, গত মাসের ১৬ তারিখ ইরানে মাহসা আমিনি নামের এক মুসলিম মহিলা ঠিকমত ভাবে হিজাব না করায় তাকে গ্রেফতার করেছিল ইরানীয় পুলিশ। কিছু সময়ের মধ্যেই তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে ইরান সহ সারা বিশ্বে। পুলিশ হেফাজতে থাকা সত্ত্বেও তেহরানের এক হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর ইরান সহ সারা বিশ্বে হিজাব বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছে। বিস্তারিত পড়ুন
তথ্য যাচাই
এই দাবির সত্যতা যাচায় করতে আমরা প্রথমে ছবিটিকে গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চ করি। ফলে, ছবিটি e-flux নামের ওয়েবসাইটের “ঘোষণা” পেজের কভার ফটো হিসেবে ব্যাবহার করা মিলে। ছবিটি ২০১৬ সালের ১৭ জানুয়ারী তারিখে ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। এই ছবির কৃতিত্ব দেওয়া রয়েছে বেলজিয়ান ভিজ্যুয়াল শিল্পী এডিথ ডেকিন্ডটকে এবং ছবির ক্যাপশনে লেখা রয়েছে “এডিথ ডেকিন্ড, নেটিভ শ্যাডো পার্ট-২ (মার্টিনিক দ্বীপ), ২০১৪।

ভাইরাল এই ছবি একই তথ্যের সহিত আরও বেশ কিছু পোর্টালেও পাওয়া যায়।
এই একই ছবি ভিডিও আকারে শিল্পীর Studio Edith Dekyndt নামের চ্যানেলে দেখতে পাওয়া যায়।
উপরিউক্ত প্রতিবেদন গুলি অনুযায়ী, চুলের তৈরি এই পতাকাটি শিল্পী এডিথ ডেকিন্ডট ২০১৪ সালে ফ্রান্সের মার্টিনিকের ডায়মন্ড উপকূলে পুঁতে তার ছবি তুলেছিল। সেই ছবিটিই ইরানে চলমান হিজাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের বলে ভাইরাল করা হচ্ছে।
নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিস্যান্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুয়ো ও ভিত্তিহীন। পতাকাটি ২০১৪ সালে বেলজিয়ান শিল্পী এডিথ ডেকিন্ড দ্বারা ফ্রান্সের মার্টিনিক দ্বীপে পুঁতে ছবি তুলেছিলেন। ভাইরাল এই ছবির সম্প্রতি ইরানে চলমান হিজাব বিরুদ্ধ প্রতিবাদের সাথে কোন সম্পর্ক নেই।

Title:কাটা চুল বেঁধে পতাকা উত্তোলন করলেন ইরানি নারীরা ? জানুন ভাইরাল ছবির সত্যতা
Fact Check By: Nasim AResult: Misleading