বোমা হামলায় মসজিদ ধূলিসাৎ হয়ে যাওয়ার ভাইরাল এই ভিডিওটি ইজরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষের সাথে সম্পর্কিত নয়
চলমান ইজরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষে দুই পক্ষ থেকে চলছে অনবরত মিসাইল হামলা। এই সংঘর্ষের ১৫তম দিন অবধি ৩৭০০ জনের বেশি লোকজন প্রান হারিয়েছে। গাজায় অবস্থিত আল আহলি আরব হাসপাতালে হামলা পর থেকেই বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা এই ঘটনার নিন্দা করে প্রাণঘাতী লোকদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। হাসপাতালের এই হামলায় প্রান হারিয়েছে প্রায় ৩০০ জন। চলমান এই সংঘর্ষকে ঘিরে ভাইরাল হচ্ছে অনেক অপ্রাসঙ্গিক ছবি, ভিডিও। যেখানে আজানরত মসজিদের একটি ভবন বোমা হামলায় মুহূর্তের মধ্যেই ধূলিসাৎ হয়ে যাওয়ার একটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, ইজরায়েলের বোমা হামলায় গাজার মসজিদ ধ্বংস হওয়ার ভিডিও।
তথ্য যাচাই করে আমরা দেখতে পেয়েছি পোস্টের দাবিটি বিভ্রান্তিকর। পুরনো ও অপ্রাসঙ্গিক ভিডিওকে ইজরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষের আবহে শেয়ার করা হচ্ছে।
তথ্য যাচাই
ভিডিওর সত্যতা যাচাই করতে ভিডিও কি ফ্রেম গুলোকে গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চ করি। ফলে, তুরস্কের এক ওয়েবসাইটের ২০১৪ সালের একটি প্রতিবেদনে ভাইরাল এই ভিডিওর উল্লেখ পাওয়া যায়। এই প্রতিবেদনে মসজিদটিকে উওয়াইস কারানীর মাজার বলে চিহ্নিত করেছেন যা তুরস্ক-সমর্থিত সন্ত্রাসীরা বোমা হামলার মাধ্যমে ধূলিসাৎ করেছিল।
এই একই ভিডিওটি একটি ইউটিউব চ্যানেলেও পাওয়া যায়। ২০১৪ সালের ৮ জুন তারিখে আপলোড করা হয়েছে ভিডিওটি এবং জানানো হয় ‘উওয়াইস আল-কুরানী’ মসজিদ যেটি আইএসআইএস দ্বারা ধ্বংস করা হয়েছিল।
গুগল ম্যাপ্স নিশ্চিত করে যে ‘উওয়াইস আল-কুরানী’ নামের এই মসজিদটি সিরিয়ায় অবস্থিত।
তৎকালীন সময়ে ইসলামিক স্টেটের জঙ্গিরা ইরাক ও সিরিয়ায় প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোকে ধ্বংস করছিল। মিন্ট এই বিষয়ে একটি ইউটিউব ভিডিওও তৈরি করেছে যাতে ভাইরাল ভিডিওটিও রয়েছে।
নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেণ্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি বিভ্রান্তিকর। ২০১৪ সালে জঙ্গি সংগঠন ISIS দ্বারা সিরিয়ার ‘উওয়াইস আল-কুরানী’ মসজিদ ধ্বংস করার ভিডিওকে সাম্প্রতিক ইজরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষের আবহে শেয়ার করা হচ্ছে।
Title:বোমা হামলায় মসজিদ ধূলিসাৎ হয়ে যাওয়ার ভাইরাল এই ভিডিওটি ইজরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষের সাথে সম্পর্কিত নয়
Written By: Nasim AkhtarResult: False