
২০২৫ সালের ৯ জুলাই INDIA জোট বিহারে বন্ধ ডেকেছিল। এই আন্দোলনের সময় কংগ্রেস নেতা কানহাইয়া কুমার এবং পূর্ণিয়ার সাংসদ পাপ্পু যাদবকে একটি খোলা গাড়িতে ওঠতে দেওয়া হয়নি জার ভিডিওর সামাজিক মাধ্যমে বিশাল ভাইরাল হয়েছে। ওই গাড়িতে রাহুল গান্ধী, তেজস্বী যাদবসহ অন্য নেতা-মন্ত্রী ছিলেন। এই প্রসঙ্গে একটি ভিডিও যেখানে পাপ্পু যাদবকে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন এবং কাঁদতে দেখা যাচ্ছে। ভিডিওটি শেয়ার করে খোলা ভ্যানে উঠতে না দেওয়ায় তিনি অপমানিত বোধ করেন এবং সে কারণে তিনি ভেঙে পড়েছেন।
পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়েছে,”পাপ্পু যাদবকে শুধু মঞ্চ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়নি, রাহুল গান্ধীর নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে মার*ধোর করেছেন। তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিহার বন্ধের জন্য ভিড় জমাচ্ছিলেন পাপ্পু যাদব, শেষ মুহূর্তে তাকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।“
তথ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি দাবিটি ভুয়ো। এই ভিডিওটি আসলে ২০১৮ সালের পুরনো ভিডিও, যার সঙ্গে ২০২৫ সালের সাম্প্রতিক বিহার বন্ধের আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই।
তথ্য যাচাইঃ
এই দাবির সত্যতা করতে আমরা ভিডিওর কি ফ্রেমগুলোকে গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চ করি। ফলস্বরুপ, পাপ্পু যাদবের আবেগপ্রবন হওয়ার এই ভিডিওকে ঘিরে একটি সংবাদ উপস্থাপন এবিপি নিউজ-এর চ্যানেলে পেয়ে যায়। ৬ সেপ্টেম্বর ,২০১৮, তারিখে আপলোড করা এই ভিডিওর অনুযায়ী- বিহারের মুজাফ্ফরপুরে একটি সভা করতে যাওয়ার সময় সাংসদ পাপ্পু যাদবের গাড়ি বহরের ওপর হামলা হয়েছিল। এসসি/এসটি সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে বন্ধের সমর্থকেরাই এই হামলা চালিয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন সাংসদ।
NDTV- এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুজাফ্ফরপুরে বন্ধ সমর্থকদের হামলার পর পাপ্পু যাদব সংবাদমাধ্যমের সামনে কেঁদে ফেলেন। তিনি তখন ‘নারী সুরক্ষা পদযাত্রা করছিলেন। সেই সময় কিছু অজ্ঞাত ব্যক্তি, যাদের হাতে পিস্তল ও লাঠি ছিল তার ওপর হামলা করে। পরে তিনি বলেন, যদি সিআরপিএফের নিরাপত্তা না থাকত তাহলে তিনি মারা যেতে পারতেন।
সংশ্লিষ্ট এই ভিডিওটি পাপ্পু যাদবের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেল থেকে ৬ সেপ্টেম্বর,২০১৮, তারিখে পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে,”রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার দেশকে জাতিগত ও সাম্প্রদায়িক হিংসা-প্রতিহিংসার আগুনে জ্বালিয়ে দিতে চাইছে। যদি Y ক্যাটাগরির নিরাপত্তা থাকা এক সাংসদের উপর পিস্তল দেখিয়ে হামলা হতে পারে, তাহলে সাধারণ মানুষের কী অবস্থা হবে? আমি যখন #নারী_বাঁচাও_পদযাত্রা করছিলাম, তখন ধর্ষক ব্রজেশের রক্ষকরা আমার উপর হামলা চালিয়েছে।“
নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে ফ্যাক্ট ক্রিসেণ্ডো এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, ভাইরাল ভিডিওটির সঙ্গে করা দাবিটি ভুয়ো ও বিভ্রান্তিকর। এটি ২০১৮ সালের একটি পুরনো ভিডিও, যার সঙ্গে সাম্প্রতিক ভারত বন্ধের কোনো সম্পর্ক নেই।

Title:সাংসদ পাপ্পু যাদবের ক্যামেরার সামনে আবেগপ্রবণ হওয়ার পুরনো ভিডিওকে সাম্প্রতিক বিহার বন্ধের প্রেক্ষিতে শেয়ার
Fact Check By: Nasim AkhtarResult: Misleading