
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ফেসবুকে একটি ভিডিও যেখানে ভিড়ের কেন্দ্র বিন্দুতে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তি সেখানের অন্য ব্যক্তিকে কলাগাছ দিয়ে পেটাতে দেখা যাচ্ছে। ভিডিওটি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে যে, মারধরকারি ব্যক্তি আসামের বিজেপি বিধায়ক। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে কলা গাছ থাকায় সেই গাছ দিয়ে সেখানের কার্যকর্তাকে মারধর করে।
ভিডিওটি শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে,”উনি #BJP বিধায়ক আসামের কেমন অমানুষ হলে উদ্বোধনী জায়গায় কলা গাছ লাগায় বলে উনার রাগ উঠেছে এবং সেই কলা গাছ তুলে একজন দেবতুল্য কার্যকর্তাকে আশীর্বাদ দিচ্ছে।“
তথ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি দাবিটি বিভ্রান্তিকর। ভিডিওর ব্যক্তি আসামের বিধায়ক ঠিকই কিন্তু বিজেপি নয়, স্থানীয় রাজনৈতিক দল এআইইউডিএফ-এর বিলাশিপাড়া পূর্ব বিধানসভার বিধায়ক সামসুল হুদা।
তথ্য যাচাইঃ
এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে আমরা ভিডিওর কি ফ্রেমগুককে গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চ করি। ফলে, ভাইরাল এই ভিডিও কেন্দ্রিক অনেক সংবাদ প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনগুলো অনুযায়ী, তিনি বদরুদ্দিন আজমলের দল AIUDF থেকে বিধায়ক। তার নাম, সামসুল হুদা আসামের ধুবরি জেলার পূর্ব বিলাসিপাড়া বিধানসভা থেকে বিধায়ক। শিলান্যাসের জন্য ব্যবহৃত লালের বদলে গোলাপি ফিতা দেখে ক্ষুব্ধ বিধায়ক সামসুল। সেই জেরে তিনি সহিদুর রহমান নামের এক ব্যক্তির গলা ধরেন, তাকে চড় মারেন এবং শিলান্যাসের জন্য লাগানো দুটি কলা গাছ উপড়ে ফেলেন এবং তা দিয়ে ওই ব্যক্তিকে পেটাতে শুরু করেছিলেন। সহিদুর রহমান সেতুর ঠিকাদারের সহকর্মী ছিলেন।
শিলান্যাসের জন্য ব্যবহৃত কলা গাছ হলুদ হয়ে যাওয়া নিয়ে তিনি রেগে যান এবং তাকে হেনস্থাকরে বলে জানিয়েছেন সেই ব্যক্তি।
আসামের বিধানসভার ওয়েবসাইটেও রয়েছে, সামসুল হুদা পূর্ব বিলাসিপাড়া বিধানসভা থেকে বিধায়ক। তার রাজনৈতিক দলের নাম এআইইউডিএফ।
উপরোক্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রমানিত হয়,মারধরকারী ভিডিওর ব্যক্তি আসামের ধুবরি জেলার পূর্ব বিলাসিপাড়া বিধানসভা থেকে বিধায়ক সামসুল হুদা। তিনি বিজেপি নয়, স্থানীয় রাজনৈতিক দল এআইইউডিএফ।
নিষ্কর্ষঃ
তথ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে ফ্যাক্ট ক্রিসেণ্ডো এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, ভিডিওর ব্যক্তি আসামের বিধায়ক ঠিকই কিন্তু বিজেপি নয়, স্থানীয় রাজনৈতিক দল এআইইউডিএফ-এর বিলাশিপাড়া পূর্ব বিধানসভার বিধায়ক সামসুল হুদা।

Title:কলাগাছ দিয়ে মারধরকারী ব্যক্তি করছেন আসামের বিজেপি বিধায়ক নন, AIUDF এর বিধায়ক
Fact Check By: Nasim AkhtarResult: Misleading