
জুন মাসের শেষের দিকে ভারী বৃষ্টির কারণে গুজরাটের অনেক এলাকায় বন্যার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। দুটির ছবির কোলাজযুক্ত একটি গ্রাফিক সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে শেয়ার করে ছবি দুটিকে গুজরাটের বলে দাবি করা হচ্ছে। ছবি দুটির প্রথমটিতে জলামগ্ন বিমানবন্দেরর মধ্যে বিমান দাঁড়িয়ে থাকতে এবং দ্বিতীয়টিতে পিচ ঢালায় করা রাস্তার মাঝে বিশাল বড় একটি গর্ত দেখা যাচ্ছে যা কিনা সম্প্রতি গুজরাট বৃষ্টির দরুন হয়েছে। এই কোলাজের মাঝে লেখা হয়েছে,” আমেদাবাদ এয়ারপোর্ট জলমগ্ন মোদীর গুজরাট মডেল একদিনের বৃষ্টিতে হাড় কঙ্কাল বেরিয়ে পড়ল.. নতুন বানানো হাইওয়ে হ্রদে রূপান্তর মোদি হে তো মুমকিন হে।“
তথ্য যাচাই করে আমরা দেখতে পেয়েছি পোস্টের দাবিটি ভুয়ো ও বিভ্রান্তিকর। ছবি দুটি গুজরাটে ভারী বৃষ্টির সাথে সম্পর্কিত নয়।

তথ্য যাচাইঃ
ছবি দুটির আসল উৎস খুঁজতে ছবি দুটিকে এক এক করে গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চ করি।
প্রথম ছবিঃ
সংবাদমাধ্যম স্ক্রোল-এর ২৮ জুলাই,২০১৭, তারিখের প্রতিবেদন অনুযায়ী ছবিটি চেন্নাই বিমানবন্দের জলামগ্নের ছবি। ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে চেন্নাই বিমানবন্দর প্লাবিত হয়েছিল এবং ছবিটি সেই সময়ের।

এই ছবিটি সংবাদসংস্থা পি.টি.আই-এর এক চিত্রগ্রাহক আহমেদাবাদের দাবি করে শেয়ার করেছিল এবং তাকে অনুসরণ করে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমও ছবিটিকে আহমেদাবাদ বিমানবন্দর বলেই নিজদের প্রতিবেদন প্রকাশিত করেছিল। তৎকালীন সময়ে এই ভুয়ো খবরের বিরুদ্ধে অনেকেই সোচ্চার হয়েছিল। তৎকালীন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ক্ষোভ প্রকাশ করে টুইট করে জানিয়েছিলেন ছবিটি চেন্নাই বিমানবন্দরের, আহমেদাবাদের নয়।
স্মৃতি ইরানির টুইটের প্রতিউত্তরে পি.টি.আই এই ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন এবং সেই চিত্রগ্রাহককে চাকরীচ্যুত করেছিলেন।
২০১৫ সালের প্লাবিত চেন্নাই বিমানবন্দরের ছবিকে আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের দাবিতে শেয়ার করা হচ্ছে।
দ্বিতীয় ছবিঃ
রাস্তা ধসে পরে বিশাল গর্তের এই ছবিটি উত্তর-পশ্চিম দিল্লীর রোহিণীর এক রাস্তার। চলতি বছরের জুলাই মাসে রাজধানীতে অবিরাম বৃষ্টি চারদশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। এই বৃষ্টিপাত দিল্লীতে আকস্মিক বন্যা, রাস্তা অবরুদ্ধ করেছে এবং বেশ কয়েকটি এলাকায় লোকজনকে চরমহারে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

‘ইন্ডিয়া টুডে’র ৯ জুলাই,২০২৩, তারিখের প্রতিবেদনেও সিঙ্কহোলটিকে দিল্লীর রোহিণীর এক রাস্তার বলে জানানো হয়েছে।
নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেণ্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি বিভ্রান্তিকর। প্লাবিত বিমানবন্দরের ছবিটি চেন্নাই বিমানবন্দরের এবং সিঙ্কহোলের ছবিটি দিল্লীর রোহিণীর রাস্তার।

Title:প্লাবিত আহমেদাবাদ বিমানবন্দর ও গুজরাটের রাস্তায় সিঙ্কহোল ? জানুন ভাইরাল ছবিদ্বয়ের আসল উৎস
Written By: Nasim AkhtarResult: False