
যুগশঙ্খ নামে একটি বাংলা খবরের কাগজের ২০১৭ সালের একটি প্রতিবেদনের শিরোনামের সম্পাদিত ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো দাবির সাথে শেয়ার করে করা হচ্ছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, প্রতিবেদনটির শিরোনামে লেখা রয়েছে, “হিন্দুধর্ম মানি নাঃ মমতা”। অর্থাৎ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছেন ‘হিন্দুধর্ম মানি না’। পোস্টটির ক্যাশনে লেখা রয়েছে, ‘মাননীয়া আপনি যখন হিন্দু ধর্ম মানেন না, তখন আপনার বাপের দেওয়া পদবী টা পাল্টে নিজের নামটি পরিবর্তন করে মমতাজ বেগম করে নিন।‘
তথ্য যাচাই করে আমরা দেখতে পেয়েছি এই দাবি ভুয়ো এবং বিভ্রান্তিকর। মমতা ব্যানার্জি এমনটি বলেননি। প্রতিবেদনটির শিরোনামের অর্ধাংশের ছবি শেয়ার করে এই ভুয়ো দাবি করা হচ্ছে। আসল শিরোনামে লেখা রয়েছে, “বিজপির হিন্দুধর্ম মানি নাঃ মমতা”।

Fact Check: বিহারের ছবিকে দক্ষিন দিনাজপুরের ছবি বলে ভুয়ো দাবি করলেন দিলীপ ঘোষ
তথ্য যাচাই
ছবিটি দেখেই আমরা বুঝতে পারি প্রতিবেদনটির শিরোনামকে সম্পাদিত করে পোস্ট করা হয়েছে। ফেসবুকে কিওয়ার্ড সার্চ করে বেশ কয়েকটি পোস্ট দেখতে পাই যার মধ্যে সম্পূর্ণ শিরোনাম সহ প্রতিবেদনটি দেওয়া রয়েছে। দেখতে পাই শিরোনামে লেখা রয়েছে, ‘বিজেপির হিন্দু ধর্ম মানি নাঃ মমতা’।

এরপর গুগলে কিওয়ার্ড সার্চ করে সংবাদমাধ্যম ‘বুম লাইভ’- এর ওয়েবসাইটে ২০১৭ সালের ৭ ডিসেম্বরের যুগশঙ্খ পত্রিকার ই-পেপারের প্রথম পাতা (আর্কাইভ) খুঁজে পাই যেখানে এই প্রতিবেদনটিকে দেখতে পাওয়া যায়।
এরপর যুগশঙ্খ পত্রিকার ওয়েবসাইটে সাবস্ক্রাইব করে আর্কাইভ থেকে ২০১৭ সালের ৭ ডিসেম্বরের সংস্করণটি খুঁজে বের করি। দেখতে পাই প্রতিবেদনটির শিরোনামে লেখা রয়েছে, ‘‘বিজেপির হিন্দু ধর্ম মানি নাঃ মমতা’। এর বিষয়বস্তু হল, সংহতি দিবসে কলকাতার মেয়োরোডের একটি জনসভায় মমতা ব্যানার্জি বলেছেন আমাকে মুসলিম তোষনকারি বলবেন বলুন আমার কিছু যায় আসে না। প্রতিবেদনটিতে আরও লেখা রয়েছে, মমতা বলেছেন বিজেপির হিন্দুধর্ম আমি মানি না।

এরপর আরও কিওয়ার্ড সার্চ করে সংবাদমাধ্যম ’দ্যা হিন্দু’- এর ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বরের একটি প্রতিবেদন (আর্কাইভ) থেকে জানতে পারি, সংহতি দিবসে মেয়োরোডের সভায় বিজেপিকে কটাক্ষ মমতা বলেন “বিভাজনমূলক রাজনীতি, অসহিষ্ণুতা দেশে বিরাজ করছে”।

নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুল। ২০১৭ সালের একটি প্রতিবেদনের শিরোনামের সম্পাদিত ছবি শেয়ার করে ভুয়ো দাবি করা হচ্ছে।