
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, দিল্লীতে অমিত শাহের সাক্ষাৎ না পেয়েই ফিরতে হল বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। একটি গ্রাফিক্স ছবি শেয়ার করে এই ভুয়ো দাবি করা হচ্ছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে ওপরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছবি রয়েছে এবং নিচে শুভেন্দুর ছবি রয়েছে। মাঝখানে নিউজ ১৮ বাংলার একটি প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট রয়েছে যেখানে শুভেন্দু অধিকারীকে নীতিন গড়কড়ির সাথে দেখা যাচ্ছে। গ্রাফিক্সের ওপরে লেখা রয়েছে, “সারাদিন পেরোলেও হলো না শাহি সাক্ষাৎ! দিনভর অপেক্ষা করিয়েও সময় দিলেন না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দিল্লী গিয়ে শাহের দর্শন না পেয়ে তিনি গডকরিকে নালিশ জানিয়ে এলো ত্রিপল চোর। আহা গো খুব কষ্ট হচ্ছে বলো?” পোস্টের ক্যাপশনে লেখা রয়েছে “#BJPHataoDeshBachao”।
তথ্য যাচাই করে আমরা দেখতে পেয়েছি এই দাবি ভুয়ো এবং বিভ্রান্তিকর। দিল্লীতে ৯ সেপ্টেম্বর অমিত শাহের সাথে দেখা করেন শুভেন্দু অধিকারী।


উল্লেখ্য, গত ৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় দিল্লি গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ভবানীপুর উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটকানোর রণকৌশল ঠিক করতেই রাজধানীমুখো হয়েছেন বলে অনুমান।
তথ্য যাচাই
এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে প্রথমে গ্রাফিক্সে দেওয়া ‘নিউজ ১৮ বাংলা’-এর প্রতিবেদনটি খুঁজে বের করি। ৮ সেপ্টেম্বরের এই প্রতিবেদন থেকে জানতে পারি, দিল্লী পৌঁছে শুভেন্দু অধিকারী নীতিন গড়কড়ির সাথে দেখা করেন। সেদিন অমিত শাহের সাথে সাক্ষাৎ হয়ে ওঠেনি।

এরপর কিওয়ার্ড সার্চ করে সংবাদ মাধ্যম ‘এই সময়-এর ৯ সেপ্টেম্বরের একটি প্রতিবেদন থেকে জানতে পারি, বাংলায় রাজনৈতিক হিংসা এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অমিত শাহের সাথে বৈঠক করেন শুভেন্দু অধিকারী। ১৫ মিনিট কথোপকথন হয় দুজনের মধ্যে।

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে এই সাক্ষাতের একটি ছবি পোস্ট করা হয়। ছবির সাথে ক্যাপশনে তিনি লেখেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাথে সাক্ষাৎ সবসময়ই আনন্দের। তার ব্যস্ততার মধ্যে আমাকে সময় দেওয়ার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। বাংলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করলাম। বাংলার রাজনৈতিক হিংসা যে এখনও চলছে এই বিষয়ে তিনি অবগত।
নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুল ও ভিত্তিহীন। দিল্লীতে ৯ সেপ্টেম্বর অমিত শাহের সাথে দেখা করেন শুভেন্দু অধিকারী।