
আমুল ব্র্যান্ডের কয়েকটি লস্যি প্যাকেটের ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে যে, সিল প্যাক করা আমুল লস্যি তার মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখের আগেই মারাত্মকভাবে দূষিত হয়ে গেছে। পোস্টের ভিডিওতে দেখতে পাওয়া আমুল লস্যির প্যাকেটের মেয়াদ তারিখ লেখা আছে ১২ অক্টোবর। তা সত্ত্বেও লস্যির প্যাকেট গুলো খোলা হলে তাতে সবুজ রঙের ছত্রাকের একটি স্তর স্পষ্ট লক্ষ্যনিয়।
পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, “আমূল লস্যি খাবার আগে অবশ্যই প্যাকেট খুলে দেখেনিন। এক্সপায়ার ডেটের আগেই কি অবস্থা; নিজে চোখে দেখুন। …”
তথ্য যাচাই করে আমরা দেখতে পেয়েছি পোস্টের দাবিটি ভুয়ো ও বিভ্রান্তিকর। নষ্ট হওয়া লস্যি বিক্রি করছে না আমুল। ভাইরাল ভিডিওতে দেখতে পাওয়া লস্যির প্যাকেটে ছিদ্র করার জায়গায় আগে থেকেই ছিদ্র লক্ষণীয় যা লস্যিতে ছত্রাকের জন্য দায়ী। আগে থেকেই ছিদ্রযুক্ত আমুল প্যাকেট কিনতে না করেছেন মেনেজিং ডিরেক্টর রবিন চৌধুরী।
তথ্য যাচাইঃ
ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা যাচাইয়ের উদ্দ্যেশে ফ্যাক্ট ক্রিসেণ্ডোর প্রতিনিধি আমুল কোম্পানির মেনেজিং ডিরেক্টর রবিন চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করে। তিনি আমাদের জানিয়েছেন,” এই ভিডিওটি বিভ্রান্তিকর। আমুলের প্যাকেটের ছিদ্র করার জায়গায় একটি ছিদ্র দেখা যায়। আমুল ইতিমধ্যেই তার গ্রাহকদের সতর্ক করে দিয়েছে যে তারা যেন বার্স্ট প্যাকেট বা ছিদ্রযুক্ত প্যাকেট না কিনে। এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে লস্যির প্যাকেটে আগে থেকেই ছিদ্র ছিল, তাই লস্যি খারাপ হয়ে গেছে।“
আমুলের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলেও এই ভিডিওকে ঘিরে একটি স্পষ্টীকরণ জারি করেছেন। এখানেও সেই একই কথা লেখা দেখা যাচ্ছে। লেখা হয়েছে, “হোয়াটসঅ্যাপ এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে আমুল লস্যির নিম্নমানের বিষয়ে একটি জাল বার্তা ফরওয়ার্ড করা হচ্ছে। ভিডিওটির নির্মাতা স্পষ্টীকরণের জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করেননি বা অবস্থানটিও প্রকাশ করেনি। আমরা আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে আমুল লস্যি আমাদের অত্যাধুনিক ডেইরিগুলিতে তৈরি করা হয় এবং পণ্যের গুণমান এবং প্যাকেজিংয়ের অখণ্ডতার জন্য কঠোর মান পরীক্ষা করা হয়। আদর্শ অনুশীলন হিসাবে আমরা আমাদের গ্রাহকদের নিরাপত্তার জন্য আমাদের সমস্ত প্যাকে নিম্নলিখিত ঘোষণাটি উল্লেখ করি, “ফুফড / ছিদ্রযুক্ত প্যাকেট কিনবেন না”
আরও লিখেছেন যে, “এই ভিডিওটি ভুল ধারণা তৈরি করতে এবং আমাদের গ্রাহকদের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় ভয় ও উদ্বেগ ছড়াতে তৈরি করা হয়েছে। আমরা আপনাকে অনুরোধ করছি দয়া করে এই বার্তাটি আপনার পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে ভাগ করে নিন এবং তাদের আমুল লস্যির মঙ্গল সম্পর্কে আশ্বস্ত করুন।“
তথ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে প্রমানিত আমরা দেখতে পেয়েছি যে ভাইরাল ভিডিওটির সাথে থাকা দাবিটি বিভ্রান্তিকর। নষ্ট হওয়া লস্যি বিক্রি করছে না আমুল।
নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেণ্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুয়ো। নষ্ট হওয়া লস্যি বিক্রি করছে না আমুল। ভাইরাল ভিডিওতে দেখতে পাওয়া লস্যির প্যাকেটে ছিদ্র করার জায়গায় আগে থেকেই ছিদ্র লক্ষণীয় যা লস্যিতে ছত্রাকের জন্য দায়ী। আগে থেকেই ছিদ্রযুক্ত আমুল প্যাকেট কিনতে না করেছেন মেনেজিং ডিরেক্টর রবিন চৌধুরী।

Title:নষ্ট হওয়া লস্যি বিক্রি করছে না আমুল। জানুন ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা
Written By: Nasim AkhtarResult: False