
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাঙ্গালুরুতে অবস্থিত একটি সুপার মার্কেটের ছবি পোস্ট করে ভুয়ো দাবি করা হচ্ছে এটি কৃষক দ্বারা পরিচালিত একটি বাজারের ছবি। পোস্টটিতে মোট চারটি ছবি রয়েছে যেখানে একটি সবজি বাজারকে দেখা যাচ্ছে যেখানে সারি সারি দাড় করা ঠেলার ওপর বিভিন্ন রকমের শাক-সবজি রাখা রয়েছে। পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা রয়েছে,
“ব্যাঙ্গালুরুতে কৃষকরা নিজেরাই সুপার মার্কেট খুলে ফেললেন! পরিবর্তন হলে এমনটা হোক। দিকে দিকে এমনটা চাই।“
তথ্য যাচাই করে আমরা দেখতে পেয়েছি এই দাবি ভুয়ো এবং বিভ্রান্তিকর। ব্যাঙ্গালুরুর এক দম্পতি এই সুপার মার্কেটটি চালায়। কৃষকরা এই বাজারটি শুরু করেনি।
তথ্য যাচাই
তথ্য যাচাইয়ের শুরুতে পোস্টের ছবিগুলিকে আমরা ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে চতুর্থ ছবিটিতে ‘হামাস’ শব্দটি একটি ব্যানারের ওপর দেখতে পাই। এরপর ছবিটিকে রিভার্স ইমেজ সার্চ সহ কিওয়ার্ড সার্চ করি। ফলাফলে ‘হামাস’ নামে একটি সুপার মার্কেটের ওয়েবসাইট দেখতে পাই যেখানে পোস্টের ছবিগুলিকে দেখতে পাওয়া যায়। এই বাজারটি সশ্য ও শাক-সবজি সোজাসুজি কৃষকদের থেকে ক্রয় করে ব্যাঙ্গালুরু শহরের গ্রাহকদের কাছে বিক্রয় করে।
এরপর ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো এই বাজারের প্রতিষ্ঠাতা মঞ্জুনাথ টি এন-এর সাথে যোগাযোগ করে। তিনি আমাদের জানান যে ২০১৯ সাথে এই সুপার মার্কেটটি শুরু করা হয়। তিনি বলেন,
“ব্যাঙ্গালুরুতে আপাতত কৃষক পরিচালিত কোনও সুপার মার্কেট নেই। শহরে এসে গ্রাহকদের কাছে ফসল বিক্রি করা কৃষকদের পক্ষে সোজা কাজ নেই। হামাস, আমি এবং আমরা স্ত্রী শিল্পা গোপালেয়া ২০১৯ সালে এই বাজারটি প্রতিষ্ঠা করি। বাঙ্গালুরুর গ্রামীণ এলাকাগুলিতে অবস্থিত আমাদের সংগ্রহ কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে উচিত দরে কৃষকদের কাছ থেকে ফল ও সবজি খরিদ করা হয়। এরপর আমাদের হামাস দোকান থেকে গ্রাহকদের বিক্রি করা হয়। বর্তমানে শুধুমাত্র বাঙ্গালুরু শহরেই আমাদের দোকান রয়েছে। আগামি ভবিষ্যতে, ভারতের বিভিন্ন শহরে আমার হামাস স্টোর চালু করব এবং কৃষকদের কাছ থেকে ন্যায্য মুল্যে সশ্য ক্রয় করব। সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করা হচ্ছে এই বাজারটি কৃষকরা চালু করেছে, এই দাবি একেবারেই ভিত্তিহীন। আমি এবং আমার স্ত্রী এই হামাস সুপার মার্কেটটির প্রতিষ্ঠা করি।“
নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুল। ২০১৯ সালে ব্যাঙ্গালুরুর এক দম্পতি এই সুপার মার্কেটটি প্রতিষ্ঠা করে। কৃষকরা এই বাজারটি চালু করেনি।