
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে একটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, মধ্যপ্রদেশের রেওয়া জেলার এক সচিবকে মারধর করছে বিজেপি নেতা। পোস্টের ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একজন ব্যাক্তি তুলনামূলক কম বয়স্ক ব্যাক্তিকে লাঠি দিয়ে মারধর করছে এবং সাথে বাজে বাজে ভাষায় গালিগালাজ করছে।
পোস্টের ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “মধ্যপ্রদেশের রেওয়াতে পঞ্চায়েত সচিব তোলা না দেওয়াতে বিজেপির সতেজ নেতা বিজেপির পার্টি অফিসে ডেকে এনে বেধারক মার ও হেনস্থা করে এই হলো দেশের বিজেপির সবকা সাথ সবকা বিকাশের নমুনা, তোলাবাজ বিজেপি হাটাও দেশ বাঁচাও, #AITCSSMC।”
তথ্য যাচাই করে আমরা দেখতে পেয়েছি এই দাবি ভুয়ো এবং বিভ্রান্তিকর। উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরের ভিডিওকে বিভ্রান্তিকর দাবির সাথে জুড়ে ভুয়ো পোস্ট ভাইরাল করা হচ্ছে।
তথ্য যাচাই
এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে গুগলে প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড সার্চ করি। মুখ্যধারার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের ১৭ এপ্রিল তারিখের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরের। মারধরকারি ব্যাক্তির নাম প্রতীক তিওয়ারি এবং যাকে মারা হচ্ছে তার নাম রাজীব ভরদ্বাজ।

অন্যান্য প্রতিবেদন গুলো পড়ুন এখানে, এখানে,
সাংবাদিক রনবিজয় সিং ভাইরাল ভিডিওটি ১৫ এপ্রিল তারিখে টুইট করে এটিকে উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরের ঘটনা বলেছেন।
শাহজাহানপুর পুলিশের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে ভাইরাল ভিডিও কেন্দ্রিক তথ্য শেয়ার করা হয়। এই ভিডিওতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সঞ্জয় কুমার জানান, মারধরকারি ব্যাক্তির নাম প্রতীক তিওয়ারি ও নির্যাতিত যুবকের নাম রাজীব ভরদ্বাজ। রাজীব ভরদ্বাজ পুলিশকে জানিয়েছে, প্রতিক তিওয়ারির কাছে কর্মরত একজনের ব্যাপারে কিছু তথ্য জানতে চাইলে সে জানাতে অস্বীকার করে। তাই অভিযুক্তরা তাকে মারধর করেছে। এই বয়ানের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ প্রতীক তিওয়ারি সহ আরও ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে।
তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে প্রমানিত হয়, ভাইরাল ভিডিওটি মধ্যপ্রদেশের নয় বরং উত্তরপ্রদেশের সাহাজানপুরের এবং নির্যাতিত ব্যাক্তি কোন সচিব নয়।
নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিস্যান্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুয়ো ও ভিত্তিহীন। উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরের ভিডিওকে বিভ্রান্তিকর দাবির সাথে জুড়ে ভুয়ো পোস্ট ভাইরাল করা হচ্ছে

Title:মধ্যপ্রদেশের রেওয়া জেলার এক সচিবকে মারধর করছে বিজেপি নেতা? জানুন সত্যতা
Fact Check By: Nasim AResult: False