সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ফেসবুকে একটি প্রতিবেদনের খণ্ডচিত্র বেশ ভাইরাল হচ্ছে। খণ্ডচিত্রটি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, বিগত পাঁচ বছরে সৌদি আরবে ৩ লক্ষ ৪৭ হাজার মানুষ হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছে। প্রতিবেদনটির শিরোনামে লেখা রয়েছে,”৩ লক্ষ ৪৭ হাজার মানুষের হিন্দু ধর্ম গ্রহন সৌদি আরবে।“ এটি শেয়ার করে লেখা হয়েছে- বিশ্ব জুড়ে হিন্দুত্বের ঝড় চলছে। বিশ্বের সবাই হিন্দু হচ্ছে জয় জয় শ্রীরাম।

তথ্য যাচাই করে আমরা দেখতে পেয়েছি এই দাবি ভুয়ো ও বিভ্রান্তিকর। ভাইরাল সংবাদ প্রতিবেদনটি সম্পাদিত।

ফেসবুক পোস্ট আর্কাইভ

তথ্য যাচাইঃ

ভাইরাল দাবির সত্যতা যাচাই করতে গুগলে প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড সার্চ করি। ফলে, একই রকম ডিজাইনে প্রকাশিত ‘পুবের কলম’-এর একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। ২৩ জানুয়ারি,২০২৪, তারিখের প্রতিবেদনের শিরোনামে লেখা হয়েছে,”৩ লক্ষ ৪৭ হাজার মানুষের ইসলাম গ্রহণ সৌদি আরবে।“ প্রতিবেদনটিতে লেখা হয়েছে- সউদি আরবের অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রক জানিয়েছে বিগত পাঁচ বছরে ৩ লক্ষ ৪৭ হাজারেরও বেশি মানুষ ইসলাম গ্রহণ করেছেন।

প্রতিবেদন আর্কাইভ

উপরোক্ত প্রতিবেদন ও ভাইরাল ফেসবুক পোস্টের ছবিটিকে ভালো করে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় যে প্রতিবেদনে যেখানে ‘মুসলিম’ শব্দটি রয়েছে সেটিকে পরিবর্তন করে হিন্দু করে দেওয়া হয়েছে। অন্য এক জায়গায় ‘ইসলামের’ শব্দটিকে ‘সনাতন’ করে দেওয়া হয়েছে এবং অন্যান্য শব্দগুলো হুবহু মিলে যাচ্ছে। যা থেকে প্রমানিত হয় যে “৩ লক্ষ ৪৭ হাজার মানুষের ইসলাম গ্রহণ সৌদি আরবে।“ শিরোনামের ‘পুবের কলম’-এর প্রতিবেদনকে সম্পাদিত করে শেয়ার করা হচ্ছে। নীচে তুলনামূলক ফ্রেমটি দেখুনঃ

এটিকে সূত্র ধরে গুগলে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে অন্যান্য মুখ্যধারার প্রতিবেদন পেয়ে যায় যেখানেও বলা হয়েছে বিগত পাঁচ বছরে সউদি আরবে পাঁচ বছরে ৩ লক্ষ ৪৭ হাজার মানুষের ইসলাম গ্রহণ করেছেন। দেখুন এখানে, এখানে।

নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেণ্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুয়ো ও বিভ্রান্তিকর। সংবাদ মাধ্যম ‘পুবের কলমে’র প্রতিবেদনকে সম্পাদিত করে বিগত পাঁচ বছরে সউদি আরবে পাঁচ বছরে ৩ লক্ষ ৪৭ হাজার মানুষের ইসলাম গ্রহণ করার খবরকে হিন্দুত্বের ঝড় বলে শেয়ার করা হচ্ছে।

Avatar

Title:বিগত পাঁচ বছরে সৌদি আরবে ৩ লক্ষ ৪৭ হাজার মানুষ হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছে ? জানুন ভাইরাল গ্রাফিক্সের সত্যতা

Written By: Nasim Akhtar

Result: Altered