
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভুয়ো পোস্ট শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত আহমেদ খানকে রাজনৈতিক পরামর্শদাতা হিসেবে নিযুক্ত করলেন জো বাইডেন। পোস্টটিতে মোট তিনটি ছবি শেয়ার করা হয়েছে যেখানে জো বাইডেন, তার স্ত্রী জিল বাইডেন এবং একজন যুবককে দেখা যাচ্ছে। এর ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “আমেরিকার বর্তমান রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন তার রাজনৈতিক পরামর্শ দাতা হিসাবে ভারতীয় বংশোদ্ভূত হায়দ্রাবাদ এর আহমেদ খান কে নিযুক্ত করেছেন।“
তথ্য যাচাই করে আমরা দেখতে পেয়েছি এই দাবি ভুয়ো এবং বিভ্রান্তিকর। আহমেদ খানকে পরামর্শদাতা হিসেবে নিযুক্ত করেননি নব নির্বাচিত মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন।

তথ্য যাচাই
প্রথমেই ছবিগুলিকে গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে খুব সহজেই এর অনুসন্ধান পাওয়া যায়। ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর ‘দ্যা হানস ইন্ডিয়া’ নামে একটি ইংরেজি সংবাদমাধ্যমের একটি প্রতিবেদনে এই ছবিটি দেখতে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি পড়ে জানতে পারি, আহমেদ খান নামে এই ব্যক্তি ২০১৬ সালের বাইডেন ড্রাফটের উপ-নির্বাহী পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। ১০ ডিসেম্বর তাকেই একটি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রন করেন জো বাইডেন এবং তার সঙ্গ দেন স্ত্রী জিল বাইডেন।

এরপর কিওয়ার্ড সার্চ করে এই আহমের খানের প্রোফাইল খুঁজে বের করি। দেখতে পাই, তিনি চলতি বছরের ১০ নভেম্বর একটি ফেসবুক পোস্টে জো বাইডেনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়লাভ করার জন্য অভিনন্দন জানান। সঙ্গে তিনি এই ছবিগুলি শেয়ার করেন এবং ক্যাপশনে উল্লেখ করে দেন যে এগুলি ২০১৬ সালের ছবি।
আহমেদ খান তার টুইটার হ্যান্ডেল থেকেও একই পোস্ট করেন।
আর্কাইভ
এই বিষয়ে আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো আহমেদ খানের সাথে যোগাযোগ করে। তিনি আমাদের বলেন,
“ভাইরাল হওয়া পোস্টগুলিতে আমরা পুরনো ছবিগুলিকে সম্প্রতির দাবি করে শেয়ার করা হচ্ছে। আমি ২০১৫ সালের বাইডেন ড্রাফট নামে যুক্তরাষ্ট্রের একটি রাজনৈতিক কমিটির সাথে কাজ করেছিলাম। আমার পুরনো কাজের ছবিকেই ভুয়ো দাবির সাথে ভাইরাল করা হচ্ছে। আমি স্পষ্ট করে বলছি আমাকে বাইডেন তার পরামর্শদাতা হিসেবে নিযুক্ত করেননি।“
নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুল। আহমেদ খানকে রাজনৈতিক পরামর্শদাতা হিসেবে নিযুক্ত করেননি নব নির্বাচিত মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন।

Title:না, আমাকে পরামর্শদাতা হিসেবে নিযুক্ত করেননি জো বাইডেনঃ আহমেদ খান
Fact Check By: Rahul AResult: False