
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন রকম ভুয়ো ভিডিও, পোস্ট এবং ছবি শেয়ার করে সেগুলিকে বাংলার ঘটনা বলে দাবি করা হচ্ছে। এজাতীয় ভুয়ো পোস্টের সিংহ ভাগই সন্ত্রাস, খুন, বোমাবাজি বা রাজনৈতিক। এবারের ফেক নিউজও সেই মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে নিয়েই তবে একটু আলাদা। ফেসবুকে একটি ভুয়ো পোস্ট শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, ১২৫টি আরএসএস স্কুল নিষিদ্ধ করল মমতা। অর্থাৎ, এই পোস্টগুলির মানে দাঁড়াচ্ছে তৃতীয় বারের মত মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরএসএস স্কুলগুলি বন্ধ করেছেন। পোস্টে লেখা রয়েছে, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১২৫ টি আরএসএস স্কুল নিষিদ্ধ করলেন … দের আইয়া মাগার দুরুস্ত আইয়া”। বাংলা ছাড়াও হিন্দি এবং ইংরেজি ভাষাতেও এই দাবিটি ভাইরাল হয়েছে।
তথ্য যাচাই করে আমরা দেখতে পেয়েছি এই দাবি ভিত্তিহীন এবং ভুয়ো। মমতা সরকারের ২০১৭ সালের নির্দেশকে সম্প্রতির ঘটনা দাবি করে বিভ্রান্তিকর পোস্ট শেয়ার করা হচ্ছে।


তথ্য যাচাই
প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড সার্চ করে সংবাদমাধ্যম ‘এবিপি নিউজ’র অফিসিয়াল উইটিউব চ্যানেলের একটি ভিডিওতে এই খবরের অনুসন্ধান পাই। ২০১৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আপলোড করা এই ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “পশ্চিমবঙ্গঃ ১২৫টি আরএসএস স্কুল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়”।
সংবাদমাধ্যম ‘স্ক্রোল’-এর ২০১৮ সালের ২০ ফেব্রুয়ারির একটি প্রতিবেদনে থেকে জানতে পারি, আরএসএস ভাবধারায় চালিত হচ্ছে বলে রাজ্যের ৪৯৩টি স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ১২৫টি স্কুলের নো অবজেকশন সার্টিফিকেট নেই। রাজ্যের ১০টি জেলার মধ্যে দুই দিনাজপুরেই রয়েছে এরকম ৯৩টি স্কুল। এমন ১২৫টি স্কুল চালানো যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে সরকার। ৪৯৩টি স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা দেখতে পেয়েছি নো অবজেকশন সার্টিফিকেট ছাড়াই ১২৫টি স্কুল চলছে। বেশিরভাগই উত্তরবঙ্গে। আমরা তাদের বলেছি এভাবে চলতে পারে না।

এছাড়া, সংবাদমাধ্যম ‘মিণ্ট’ এবং ‘হিন্দুস্তান টাইমস’-এর ২০১৮ সালের প্রতিবেদনেও এই একই খবর দেখতে পাই।
নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুয়ো। মমতা সরকারের ২০১৭ সালের নির্দেশকে সম্প্রতির ঘটনা দাবি করে বিভ্রান্তিকর পোস্ট শেয়ার করা হচ্ছে।

Title:মমতা সরকারের ২০১৭ সালের নির্দেশকে সম্প্রতির ঘটনা দাবি করে বিভ্রান্তিকর পোস্ট ভাইরাল
Fact Check By: Nasim AResult: Missing Context