সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, একজন মহিলাকে থাপ্পর মারলেন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। ২৯ সেকেন্ডের ভাইরাল এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে উর্দি পরিহিত একজন পুলিশ একজন মহিলাকে থাপ্পর মারছে এবং এরপর একজন মহিলা পুলিশ এসে ওই মহিলাকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ভিডিওর ওপরে লেখা রয়েছে - West Bengal police behaviour under mamata govt।

পোস্টের ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “গরিব নিপীড়িত বঞ্চিত শোষিত অবহেলিত মানুষের প্রতি দিদির পুলিশের আচরন দেখুন। তাই ভোট এবার রাষ্ট্রবাদী দলে। এই ভিডিও দেখে কেউ ভাববেন না গোটা পুলিশ পরিবার টাই এরকম , তারা আমাদের রক্ষার জন্যই এত পরিশ্রম করেন সারা বছর । এরকম হয়তো কিছু আছে যারা এরকম । গুলিয়ে ফেলবেন না অনুরোধ রইলো । এই ভিডিওটির সত্যতা যাচাই নিজে করি নাই সোশ্যাল মিডিয়া মারফত পাওয়া।”

তথ্য যাচাই করে আমরা দেখতে পেয়েছি এই দাবি ভুল এবং বিভ্রান্তিকর। ২০১৯ সালের ওড়িশার একটি ঘটনাকে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অত্যাচারের ভুয়ো দাবিতে বিভ্রান্তিকর পোস্ট শেয়ার করা হচ্ছে।

ফেসবুক পোস্টফেসবুক পোস্ট

তথ্য যাচাই

এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে ভিডিওটিকে ‘ইনভিড-উই-ভেরিফাই;’ টুলে কয়েকটি ফ্রেমে ভাগ করে গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চ করি। ফলাফলে সংবাদমাধ্যম ‘ওড়িশা টিভি’-এর ২০১৯ সালের ৬ মার্চ তারিখে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এর অনুসন্ধান পাওয়া যায়। জানতে পারি ভাইরাল ভিডিওটি প্রতিবেশি রাজ্য ওড়িশার সম্বলপুর জেলার রেঙ্গালি থানার। উর্দি পরিহিত পুলিশ অফিসার হলেন এএসআই দ্রোণাচার্য সাহু। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর ওই কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়। জানা যায় ভিডিওটি আসলে ২০১৮ সালের এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ২০১৯ সালে এটি সকলের নজরে আসে। গণেশ মূর্তি বিসর্জন সম্পর্কিত একটি কারণে ওই মহিলাকে রেঙ্গালি থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয়। সেখানেই থানার তৎকালীন এএসআই দ্রোণাচার্য সাহু তাকে চর থাপ্পর মারে। প্রতিবেদনটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন। ‘ওরিশা টিভি ওড়িয়া’-এর ইউটিউব চ্যানেলে এই ঘটনা কেন্দ্রিক একটি ভিডিও প্রতিবেদনও পাওয়া যায়।

সংবাদমাধ্যম ‘সংবাদ’ এবং ‘ওড়িশা বাইটস’-এর ওয়েবসাইটেও এই ঘটনা কেন্দ্রিক প্রতিবেদন দেখতে পাই। এই রিপোর্টগুলিতেও পুলিশ অফিসারকে দ্রোণাচার্য সাহু বলে চিহ্নিত্ব করা হয়েছে এবং তাকে সাসপেন্ড করার বিষয়ও উল্লেখ করা হয়েছে।

নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুল ও ভিত্তিহীন। ২০১৯ সালের ওড়িশার একটি ঘটনাকে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অত্যাচারের ভুয়ো দাবিতে বিভ্রান্তিকর পোস্ট শেয়ার করা হচ্ছে।

Avatar

Title:ওড়িশার একটি ঘটনাকে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অত্যাচার দাবি করে ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে

Fact Check By: Rahul A

Result: False