ফেসবুকে একটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে যে নামাজের সময় তুরস্কে ভূমিকম্প আসার পরও নামাজ বন্ধ করেননি একজন ইমাম। পোস্টের ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে কয়েকজন লোক ফেজটুপি পরে সারিভাবে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ছে। ইমাম সহ সকলকেই ভিডিওতে দুলতে দেখা যাচ্ছে। ভিডিওর উপরে লেখা রয়েছে - তুরস্কে ভূমিকম্প সামাজের সময় আল্লাহ যেন সবাইকে হেফাজত করে। উল্লেখ্য তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্প মৃতের সংখ্যা প্রায় চার হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। উদ্ধারকার্য এখনও জারি রয়েছে এবং ভারত সহ একাধিক দেশ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।

তথ্য যাচাই করে আমরা দেখতে পেয়েছি এই দাবি ভুয়ো এবং বিভ্রান্তিকর। ২০১৮ সালের ইন্দোনেশিয়ার একটি ভূমিকম্পের ঘটনাকে তুরস্কের ভূমিকম্পের সাথে জুড়ে ভুয়ো পোস্ট ভাইরাল করা হচ্ছে।

ফেসবুক পোস্ট

তথ্য যাচাই

রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম ‘গার্ডিয়ান নিউজ’-এর ইউটিউব চ্যানেলে এই ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়। ২০১৮ সালের ৬ অগস্ট তারিখে আপলোড করা এই ভিডিওর শিরোনামে লেখা রয়েছে, “ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ইমাম ভূমিকম্পের সময় নামাজ পড়ছেন।” ২০১৮ সালের ৫ অগস্ট তারিখে ইন্দোনেশিয়ার লোম্বক দ্বীপে পর পর তিনটি ভূমিকম্প আসে। ফলস্বরূপ, ৫৬৩ জনের মৃত্যু হয় এবং হাজারে বেশি মানুষ আহত হয় ভাইরাল এই ভিডিওটি সেই সময় তোলা হয়েছিল। ভূমিকম্প সত্ত্বেও ইমাম তার নামাজ বন্ধ করেননি। এই ভিডিও ২০১৮ সালেও ভাইরাল হয়।

বিবিসি বাংলার ইউটিউব চ্যানেল থেকেই এই ভিডিওটি ২০১৮ সালের ৮ অগস্ট তারিখে শেয়ার করে শীর্ষকে লেখা হয় - মসজিদে ভূমিকম্পের সময় পালিয়ে যাননি যে ইমাম। জানা যায়, ভূমিকম্প আসার পর অন্যান্যরা নামাজ ছেড়ে পালিয়ে যান কিন্তু একজন ইমাম চোখ বন্ধ করে নামাজ পড়তে থাকে।

উপরোক্ত প্রমাণ থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় যে ২০১৮ সালের ইন্দোনেশিয়ার একটি ভিডিওকে সম্প্রতি র ঘটনা দাবি করে ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে।


নিষ্কর্ষঃ

তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেণ্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুয়ো। ২০১৮ সালের ইন্দোনেশিয়ার একটি ভূমিকম্পের ঘটনাকে তুরস্কের ভূমিকম্পের সাথে জুড়ে ভুয়ো পোস্ট ভাইরাল করা হচ্ছে।

Avatar

Title:তুরস্কে ভূমিকম্পের সময়ও নামাজ বন্ধ করেননি এই ইমাম? জানুন ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা

Fact Check By: Nasim A

Result: False