স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী অভিনীত শিক্ষামূলক ভিডিওতে সাম্প্রদায়িক রং চড়িয়ে ভুয়ো দাবির সাথে ভাইরাল

Communal False

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে একটি পোস্ট শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, পানীয়র সাথে মাদক খাইয়ে অচৈতন্য করে হিন্দু বান্ধবির সুযোগ নিতে চাইছে মুসলিম যুবক। ৩ মিনিট ২৪ সেকেন্ডের এই ভিডিওতে একটি সিসিটিভি ফুটেজের অংশ রয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি রেস্তোরায় একজন যুবক এবং যুবতী ঢোকে। তারা পানীয় অর্ডার দেয় এবং মেয়েটি হাত ধুতে যায়। এরপর ছেলেটি মেয়েটির পানীয়তে কিছু মেশায়। রেস্তোরার কর্মচারী ঘটনাটি লক্ষ্য করে এবং মেয়েটিকে আটাকায়। তারপর পুলিশ ডেকে আনে এবং পুলিশ ছেলেটিকে নিয়ে যায়। 

পোস্টের ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “এই মুসলিম (জিহাদি) ছেলেটির কান্ড দেখুন, হিন্দু বান্ধবীকে ঠাণ্ডা কিছু এনার্জি ড্রিংকে ড্রাগ খাইয়ে ইজ্জত লুট করার পরিকল্পনা করছিল কিন্তুু হোটেল মালিকের চালাকির কবলে পড়ে গেল।“ 

তথ্য যাচাই করে আমরা দেখতে পেয়েছি এই দাবি ভিত্তিহীন এবং বিভ্রান্তিকর। স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী অভিনীত একটি শিক্ষামূলক ভিডিওকে সাম্প্রদায়িক রং লাগিয়ে ভুয়ো দাবির সাথে ভাইরাল করা হচ্ছে।  

ফেসবুক পোস্ট

তথ্য যাচাই

এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে ভিডিওকে ‘ইনভিড-উই-ভেরিফাই’ টুলে কয়েকটি ফ্রেমে ভাগ করে গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চ করি। ফলাফলে দেখতে পাই, ‘হামসা নন্দিনী’ নামের একটি ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে এই ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে। ২০২০ সালে পোস্ট করা এই ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “আপনি পরবর্তী শিকার হতে পারেন! 😱😱🙏 . . . . . . দেখার জন্য ধন্যবাদ! অনুগ্রহ করে সচেতন থাকুন যে এই পেজটি থেকে অভিনীত নটক এবং প্যারোডি শেয়ার করা হয়। এই স্বল্পদৈর্ঘ্য ভিডিওটি শুধুমাত্র শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে বানানো হয়েছে।“ 

https://www.facebook.com/ihamsanandini/videos/462437911748560

এই ফেসবুকে পেজে দেওয়া তথ্য থেকে জানতে পারি হামসা নন্দিনী একজন পেশাদার শিল্পী। আরও জানতে পারি তিনি তেলেগু ছবিতে অভিনয়ও করেছেন। 

এরপর ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ড বাংলা হামসা নন্দিনীর সাথে যোগাযোগ করে। তিনি আমাদের জানান, “এই ভিডিওর সাথে কোনও একটি সম্প্রদায়ের কোনরকম সম্পর্ক নেই। এই ভিডিওর কোনও হিন্দু-মুসলিম দিক নেই। এটি আসল ঘটনা নয়। ফেসবুকে পোস্টে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে এট অভিনীত শিক্ষামূলক ভিডিও। এই ভিডিওর সাথে কোনও সম্প্রদায়ের সম্পর্ক নেই। সোশ্যাল মিডিয়ার দাবি একবারেই ভুয়ো।“ 

এই একই দাবি হিন্দি ভাষাতেও ভুয়ো দাবির সাথে ভাইলা করা হয়েছে। ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো ইংরেজি তার তথ্য যাচাই করে সেটিকে ভুয়ো প্রমাণ করে। ফ্যাক্ট চেকটু পড়ুন এখানে। 

নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুল ও ভিত্তিহীন। স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী অভিনীত একটি শিক্ষামূলক ভিডিওকে সাম্প্রদায়িক রং লাগিয়ে ভুয়ো দাবির সাথে ভাইরাল করা হচ্ছে।

Avatar

Title:স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী অভিনীত শিক্ষামূলক ভিডিওতে সাম্প্রদায়িক রং চড়িয়ে ভুয়ো দাবির সাথে ভাইরাল

Fact Check By: Nasim A 

Result: False


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *