
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে একটি পোস্ট শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, শ্রীলঙ্কার স্বাক্ষরতার হার ১০০ শতাংশ।
পোস্টে একটি লম্বা ক্যাপশনে শেয়ার করে লেখা হয়েছে, “একটা কথা লিখে রাখেনঃ বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার মত পরিস্থিতি হবে না কারণ শ্রীলঙ্কায় শতভাগ শিক্ষিত(স্বশিক্ষিত ও সুশিক্ষিত) যারা তাদের অধিকার এবং অন্যান্য বিষয়ে সচেতন। আর বাংলাদেশে যা আছে শিক্ষিত তাও অধিকাংশই কেবলমাত্র সার্টিফিকেটধারী। আর এদেশের শিক্ষার মান দিন দিন তলানীতে গিয়ে ঠেকতেছে। নোটঃ গত ১০-১২ বছরে শিক্ষার মান সর**র যেই লেভেলে নিয়ে গেছে তাতে ঐ লেভেলের শিক্ষিত সমাজ দ্বারা শ্রীলঙ্কার মত আন্দোলন কখনোই সম্ভব নয়। সুতরাং বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার মত আন্দোলন বা পরিস্থিতি হবে না। 👉শিক্ষার মানের অবনয়ন সবকিছুই পরিকল্পিত এদের এজন্যই আজকে তেলের দাম বৃদ্ধির ঘোষণার সাথে সাথে মানুষ পাম্পে ভিড় জমিয়েছে, এরা সচেতন আর স্বশিক্ষিত হলে ঠিকই পাম্পে না গিয়ে অধিকার আদায়ের জন্য দাঁড়াতো।”
তথ্য যাচাই করে আমরা জানতে পারি পোস্টের দাবি ভুয়ো ও বিভ্রান্তিকর। শ্রীলঙ্কার বর্তমান স্বাক্ষরতার হার ৯২ শতাংশ এবং তা কখনই ১০০ শতাংশ ছিল না।

তথ্য যাচাই
এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে আমরা গুগল সার্চের মাধ্যমে শ্রীলঙ্কার উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রণালায়ের পোর্টালে যাই। সেখানে স্পষ্ট করে উল্লেখ করা রয়েছে দেশের স্বাক্ষরতার হার ৯২ শতাংশ যা দক্ষিন এশিয়ার দেশ গুলির মধ্যে সর্বোচ্চ।

ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের ওয়েবসাইটেও এই বিষয়ক তথ্য খুঁজে পাই। এই তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী শ্রীলঙ্কার সাক্ষরতার হার ৯২ শতাংশ। ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের এই রিপোর্ট অনুযায়ী শ্রীলঙ্কার সাক্ষরতার হার কোনও দিনই ১০০ শতাংশ ছিল না।

উপরোক্ত প্রমাণ থেকে স্পষ্ট হয়ে যা শ্রীলঙ্কার সাক্ষরতার হার ১০০ শতাংশ হওয়ার খবরটি ভুয়ো।
নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিস্যান্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুল ও ভিত্তিহীন। শ্রীলঙ্কার বর্তমান স্বাক্ষরতার হার ৯২ শতাংশ এবং তা কখনই ১০০ শতাংশ ছিল না।

Title:শ্রীলঙ্কার বর্তমান স্বাক্ষরতার হার কি ১০০ শতাংশ? জানুন সত্যতা
Fact Check By: Nasim AResult: False