
সম্প্রতি ফেবসুকে একটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, তিরুপতি মন্দিরের পুজারীর ঘর থেকে ১২৮ কেজি সোনা ১৫০ কোটি টাকা নগদ ৭০ কেজি হিরা উদ্ধার হয়েছে। ভিডিওতে একটি বড় টেবিলের উপর সোনার গহনা রাখা দেখা যাচ্ছে এবং সেই টেবিল ঘিরে দাড়িয়ে রয়েছে পুলিশ কর্মী সহ বেশ কিছু লোকজন।
ভিডিওটি শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে,” কেমন চলছে দেশ শিক্ষিত বেকারা পথের পকোড়া বেঁচে আয় করে আর ওঁরা বসে কোটি টাকা উপার্জন করে।। 😯😯😯 তিরুপতি:- পুজারীর ঘর থেকে উদ্ধার ১২৮ কেজি সোনা ১৫০ কোটি টাকা নগদ ৭০ কেজি হিরা _____________________ तिरुपति में पुजारी के घर पर पकड़ा गया… 128 किलो सोना 150 करोड़ नकद 70 किलो हीरा।“
তথ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি এই দাবি মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর। ভিডিওতে দেখতে পাওয়া সোনা, গয়না এবং টাকা আসলে ভেলোর পুলিশ কর্তৃক উদ্ধারকৃত যা একটি অলঙ্কারের দোকান থেকে চুরি করা হয়েছিল।
তথ্য যাচাইঃ
এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে ভিডিওর কি ফ্রেমগুলোকে গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চ করি। ফলে, ‘Vikatan TV’ নামক একটি ইউটিউব চ্যানেলে এই সম্পর্কিত একটি ভিডিও পাওয়া যায়। ২৩ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে আপলোড করা ভিডিওটি অনুসারে, ভেলোরে একটি অলঙ্কারের দোকান থেকে ৮ কোটি টাকার মূল্যমানের হীরা এবং ১৫.৯ কেজি সোনা চুরি হয়েছিল।
চুরির ঘটনায় অভিযুক্ত চোর পুলিশকে জানায় যে, ভেলোর পুলিশ ওদুগাথুর নামক একটি স্থান থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে, অভিযুক্ত চোর পুলিশকে জানায় সে ইউটিউবে কিছু ভিডিও দেখে চুরির পরিকল্পনা করেছিল এবং সেগুলোর প্রভাবে এটি ঘটিয়েছে।
২২ ডিসেম্বর,২০২২, তারিখে আপলোড করা জয়া টিভির ভিডিও উপস্থাপন অনুযায়ী, তামিলনাড়ুর ভেল্লোরে জোস আলুক্কাস শোরুম থেকে চুরি করা গহনা উদ্ধার করা হয়েছিল।
দি হিন্দু, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, ইন্ডিয়া টুডে-র ২১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ধৃত চোরের নাম টি কে রমন। ২৩ বছর বয়সী এই অপরাধীকে পুলিশ ওদুগাথুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানায়, রমন চুরি করা সোনার গয়না মাটির নিচে পুঁতে রেখেছিল। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর সে স্বীকার করে যে, সে এই চুরির পরিকল্পনা কিছু ইউটিউব ভিডিও দেখে করেছিল। চুরির পর, গয়না এবং সোনা সে মাটির গভীরে লুকিয়ে রাখে, যাতে পুলিশ তাকে সহজে ধরতে না পারে। তবে পুলিশের তৎপরতায় শেষ পর্যন্ত সে ধরা পড়ে।
তামিলনাড়ুর সাংবাদিক মহালিঙ্গম পন্নুস্বামি এই ছবি কেন্দ্রিক এক ভিডিও টুইট করে জানিয়েছে ’ভেলোর পুলিশ একজন চোরকে গ্রেফতার করেছে, যে ভেলোরে জসালুক্কাস জুয়েলারি দোকানের দেয়াল গর্ত করে ১৫ কেজি সোনা ও হীরার গহনা চুরি করেছিল 🌟💐।
তামিলনাড়ু পুলিশের অফিসিয়াল এক্স (টুইটার) অ্যাকাউন্টও সেই সময়ে এই বিষয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করেছিল।
নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিস্যান্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে যে, উপরোক্ত দাবিটি ভুয়ো এবং ভিত্তিহীন। ভিডিওতে দেখা সোনা, গয়না এবং টাকা আসলে ভেলোর পুলিশ কর্তৃক উদ্ধার করা যা একটি অলঙ্কারের দোকান থেকে চুরি করা হয়েছিল। তিরুপাতি মন্দিরের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই।

Title:ভেলোর পুলিশ কর্তৃক গহনা উদ্ধার করার পুরনো ভিডিওটি তিরুপাতি মন্দিরের সাথে জুড়ে শেয়ার
Fact Check By: Nasim AkhtarResult: False