২০১৬ সালে রাজকোটের এক হোটেল থেকে উদ্ধৃত অস্ত্রের ছবিকে ধর্মীয় রং লাগিয়ে শেয়ার

False Political

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে একটি ছবি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, রাজকোটের মসজিদ থেকে অনেকগুলি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পোস্টের ছবিতে দেখা যাচ্ছে টেবিল বা ডেস্কের ওপর অনেক গুলো তলোয়ার ও ছুরি রাখা আছে। একজন পুলিশ কর্মী সেগুলকে সাজাচ্ছেন বা গুনছেন। ছবির ওপর লেখা রয়েছে, “রাজকোটের মসজিদ থেকে পাওয়া গেল বিপুল অস্ত্র সম্ভার- এসব খবরে জঙ্গি তোষক মমতা, সোনিয়া, বুদ্ধিজীবীরা নিরব থাকে কেন?” 

ছবির নিচের দিকে লেখা রয়েছে, “ভারতীয় মুসলিমদের ভিতর বাইরের জঙ্গিদের যোগসূত্র রয়েছে- ভারতকে ধীরে ধীরে ইসলামিক স্টেট গড়ার পরিকল্পনা- হিন্দুদের খুন ও ভয়ের পরিবেশ তৈরি করাই তাদের লক্ষ্য- স্থানীয় হিন্দুরা ভয়ে আছে।” 

তথ্য যাচাই করে আমরা জানতে পারি পোস্টের মাধ্যমে করা দাবি ভুয়ো ও বিভ্রান্তিকর। ২০১৬ সালে রাজকোট-আমেদাবাদ হাইওয়ে সংলগ্ন একটি হোটেল থেকে উদ্ধার অস্ত্রের ছবিকে ধর্মীয় রং লাগিয়ে ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে। 

ফেসবুক পোস্ট আর্কাইভ 

তথ্য যাচাই

এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে আমরা ছবিটিকে গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চ করি। ফলাফলে সংবাদ মাধ্যম ‘গুজরাট হেডলাইন’-এর ২০১৬ সালের ৫ মার্চের এক প্রতিবেদন থেকে জানতে পারি, রাজকোট ডিটেকশন অফ ক্রাইম ব্রাঞ্চ (ডিসিবি) এবং কুবাদাভ রোড থানা পুলিশ রাজকোট-আমেদাবাদ হাইওয়ে সংলগ্ন চটিলা শহরের এক হোটেল থেকে এই অস্ত্রগুলি উদ্ধার করে। সেখান থেকে পুলিশ তলোয়ার, ছুরি সহ মোট ২৫৭টি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে। 

গুজরাট হেডলাইন প্রতিবেদন আর্কাইভ 

এই সুত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড সার্চ করলে সংবাদমাধ্যম “টাইমস অফ ইন্ডিয়া” এর ২০১৬ সালের ৬ মার্চের প্রতিবেদনেও একই কথার উল্লেখ পাই। 

টাইমস অফ ইন্ডিয়া প্রতিবেদন আর্কাইভ 

কিওয়ার্ড সার্চ করে দেখতে পাই ‘ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো গুজরাতি’ এই দাবির সত্যতা যাচাই করে। এই প্রতিবেদন থেকে জানতে পারি, গুজরাতি ভাষার সংবাদ মাধ্যমেও এই ঘটনা নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়। দিব্য ভাস্কর সংবাদ মাধ্যমের ২০১৬ সালের ৬ মার্চের প্রতিবেদনে এই ঘটনাটির খরব দেখতে পাওয়া যায়।  সেখানেও একই ঘটনার বিবরণ দেওয়া হয়। মসজিদ বা অন্য কোনও ঘটনার সাথে এর যোগ সূত্র পাওয়া যায়নি। 

প্রতিবেদন আর্কাইভ

নিচে ভাইরাল ছবি ও প্রতিবেদনের ছবির তুলনা দেওয়া হল।

নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুল ও ভিত্তিহীন। ২০১৬ সালে রাজকোট-আমেদাবাদ হাইওয়ে সংলগ্ন একটি হোটেল থেকে উদ্ধার অস্ত্রের ছবিকে ধর্মীয় রং লাগিয়ে ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে।

Avatar

Title:২০১৬ সালে রাজকোটের এক হোটেল থেকে উদ্ধৃত অস্ত্রের ছবিকে ধর্মীয় রং লাগিয়ে শেয়ার

Fact Check By: Nasim A 

Result: False


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *