
ভুয়ো তথ্যের সাথে পোস্ট শেয়ার করে দাবি করা হছে, ভারতে ধর্ষণের সাজা ফাঁসি। পোস্টে দেওয়া ছবি ওপরে লেখা রয়েছে, “ধর্ষণ করলে সোজা ফাঁসি, ঘোষণা করলেন মাননীয় রাষ্ট্রপতি। দেশের কাছে এক ঐতিহাসিক জয়।“
ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো তথ্য যাচাই করে দেখতে পেয়েছে এই দাবিটি ভুয়ো।
তথ্য যাচাইঃ
গুগলে কিওয়ার্ড সার্চ করে ‘অল ইন্ডিয়া রেডিও’র একটি প্রতিবেদন (আর্কাইভ) থেকে জানতে পারি, ২০১৮ সালে ক্রিমিন্যাল ‘ল (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট সংসদে পাস হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ তাতে সাক্ষর দেন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে খুব সহজেই সংশোধিত বিলটি পাওয়া যায়। এই বিল অনুযায়ী, ১২ বছরের কম বয়সীর ধর্ষণকারীর ন্যূনতম শাস্তি হতে পারে ১০ বছর কারাদণ্ড। আগে এই শাস্তি ছিল ৭ বছর। এমনকি মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে।
অন্যদিকে, ১৬ বছরের কম বয়সী মেয়েদের ধর্ষণের ক্ষেত্রে ধর্ষণকারীর শাস্তি ১০ বছর থেকে বাড়িয়ে ২০ বছর করা হয়েছে। এমনকি আমৃত্যু কারাবাসও হতে পারে। ১৬ বছরের কমবয়সী মেয়েদের গণধর্ষণের ক্ষেত্রে ধর্ষণকারীদের আমৃত্যু কারাবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১২ বছরের কমবয়সী শিশুর গণধর্ষণের ক্ষেত্রে ধর্ষণকারীদের মৃত্যুদণ্ড বা আজীবন কারাবাস হবে।
নতুন আইনে নাবালিকা ধর্ষণের ক্ষেত্রে তদন্তের সময়সীমা ধার্য করা হয়েছে সর্বাধিক ২ মাস। বিচারও শেষ করতে হবে ২ মাসের মধ্যে। ১৬ বছরের কমবয়সীর ধর্ষণ বা গণধর্ষণের ক্ষেত্রে অভিযুক্ত জামিনের আবেদন করতে পারবে না।
বিলটি সম্বন্ধে আরও জানতে এখানে পড়ুন।
ফলাফলঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুল। ধর্ষণের সাজা হিসেবে ফাঁসি, এমন কোনও বিলের অনুমোদন দেয়নি রাষ্ট্রপতি। ২০১৮ সালে একটি সংশোধনী বিল পাশ হয়েছে। এই বিল অনুযায়ী শুধুমাত্র ১২ বছরের কমবয়সী শিশুর ধর্ষণের ক্ষেত্রে ধর্ষণকারীদের মৃত্যুদণ্ড বা আজীবন কারাবাস হবে।