জার্মানির বাইক মিছিলের ভিডিওকে ভুয়ো দাবির সাথে ভাইরাল করা হচ্ছে

False Social

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, কান্সারে আক্রান্তে শিশুর শেষ ইচ্ছা পূরণের জন্য ১৫ হাজারা বাইক তার বাড়ির সামনে এসে দাড়ায়। ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি যায়গায় সারি সারি অনেকগুলি মোটর সাইকেল দাড়িয়ে আছে। সবগুলিতেই আরোহীরা হেলমেট পরে বসে আছে। কোনও বাইকে একের বেশি লোক বসে আছে। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা রয়েছে,
“জার্মানিতে ৬ বছরের বাচ্চা ক্যা*ন্সারে আক্রান্ত এবং তার শেষ ইচ্ছা ছিল কিছু বাইকার যেন তার তার বাসার সামনে দিয়ে যায়। আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধব এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে এবং মোটামুটি ২০-৩০জন বাইকারের আশা করেছিল। প্রকাশের কিছু সময় পর জার্মানির প্রায় ১৫,০০০+ বাইকার তার বাসার সামনে আসে। তার ইচ্ছা পূরণ করে ❤ – সংগৃহীত।“ 

তথ্য যাচাই করে আমরা দেখতে পেয়েছি এই দাবি ভুয়ো এবং বিভ্রান্তিকর। ২০২০ সালের জার্মানির একটি বাইক বিক্ষোভ মিছিলের ছবিকে বিভ্রান্তিকর দাবির সাথে শেয়ার করা হচ্ছে। 

ফেসবুক আর্কাইভ

তথ্য যাচাই

এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে প্রথমে গুগল সহ বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে রিভার্স ইমেজ সার্চ করি। ফলাফলে, ‘রাপ্টলি’ নামে একটি রাশিয়ান সংবাদ সংস্থার ওয়েবসাইটে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই তারিখের একটি ভিডিওতে এই দৃশ্যটি দেখতে পাই। এর শিরোনামে লেখা রয়েছে, “জার্মানি: হাজার হাজার মোটরবাইক চালকরা নুরেমাবার্গে ‘রবিবার ড্রাইভিং ব্যানে’র প্রতিবাদ করছেন।“ 

প্রতিবেদন আর্কাইভ

সংবাদ মাধ্যম ডয়চে ভেলের একটি প্রতিবেদন থেকে জানতে পারি, জার্মানিতে রবিবার এবং ছুটির দিনে মোটরসাইকেল চালানো নিষিদ্ধ করার নিয়ম চালু করার কথা চলাকালীন হাজার হাজার মোটরবাইক আরোহীরা প্রতিবাদে তাদের বাহন নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েন। পুরো দেশজুড়ে এই বিক্ষোভ মিছিলগুলির আয়োজন করা হয়। এই প্রতিবাদের নাম দেওয়া হয় “বাইকস ফর ফ্রীডম”।

প্রতিবেদন আর্কাইভ

‘রাপ্টলির’ অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলেও এই ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়। 

নিচে ভাইরাল ছবি এবং ভিডিওর স্ক্রিনশটের একটি তুলনা দেওয়া হল। 

নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুল। ২০২০ সালের জার্মানির একটি বাইক বিক্ষোভ মিছিলের ছবিকে বিভ্রান্তিকর দাবির সাথে শেয়ার করা হচ্ছে।

Avatar

Title:জার্মানির বাইক মিছিলের ভিডিওকে ভুয়ো দাবির সাথে ভাইরাল করা হচ্ছে

Fact Check By: Rahul A 

Result: False


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *