
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে একটি ছবি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, ইসলাম ধর্মের কথা বলার জন্য ভারতে একটি মুখ সেলাই করে দেওয়া হয়েছে। পোস্টের ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি মেয়ের মুখের বামদিক রক্তাক্ত হয়ে আছে এবং মুখ ও চোখে সেলাই দেওয়া রয়েছে। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা রয়েছে – “””” কেউ এড়িয়ে যাবেন না “”””‘ বোনটির জন্য সবাই দোয়া করবেন ইসলামের কথা বলার জন্য তাঁর মুখে সেলাই করে দিয়েছে ভারতে।
তথ্য যাচাই করে আমরা জানতে পারি পোস্টের দাবি ভুয়ো ও বিভ্রান্তিকর। স্বেচ্ছায় শারীরিক পরিবর্তন করা তরুনির প্রদর্শিত ছবিতে ধর্মীয় রং লাগিয়ে ভুয়ো পোস্ট শেয়ার করা হচ্ছে।

তথ্য যাচাই
এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে আমরা ছবিটিকে গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চ করি। ফলাফলে, সংবাদমাধ্যম ‘মোটলি নিউজ’-এর পোর্টালে এর অনুসন্ধান পাওয়া যায়। জানতে পারি ছবিটি ‘কেরোপি মায়েদা’ নামের শরীর আকৃতি পরিবর্তন করার একটি জাপান ভিত্তিক ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া হয়েছে। মেয়েটি ‘এক্সট্রিম বডি মডিফেকশন’ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তার চেহারার পরিবর্তন করেছে।

‘মোটলি নিউজ’-এর ২০১২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারিখের প্রতিবেদন থেকে জানতে পারি, ২০০৭ সালে ‘কেরোপি মায়েদা’ নামের এক ব্যাক্তি জাপানে প্রথম শরীর পরিবর্তনের ধারণা নিয়ে আসে। এই পরিবর্তনের জন্য কপালে একটি দ্রবন ইনজেকশনের দ্বারা ২ ঘণ্টা ধরে প্রবেশ করানো হয়। এরপর হাতের কারুকার্যতার মাধ্যমে বিভিন্ন চেহারার বিভিন্ন রুপ দেওয়া হয়। এই পরিবর্তন শরীরে প্রায় ১৬ থেকে ২৪ ঘণ্টা স্থায়ী হয়। প্রতিবেদনে মোট ৩৭টি ছবি দেওয়া রয়েছে যার মধ্যে ২২ নম্বরে ভাইরাল ছবিটি দেখতে পাওয়া যায়। (আর্কাইভ প্রতিবেদন)
এই সুত্র ধরে ‘কেরোপি মায়েদা’-এর ওয়েবসাইট থেকে জানতে পারি, ২০১২ সালের ২ আগস্ট জার্মানির ফ্র্যাঙ্কফুট শহরে ‘কেরোপি মায়েদা’-এর শারীরিক পরিবর্তনের বিভিন্ন ছবি প্রদর্শিত করা হয়েছিল। ভাইরাল হওয়া এই ছবিটি ওই প্রদশনেরই অংশ।

নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুল ও ভিত্তিহীন। স্বেচ্ছায় শারীরিক পরিবর্তন করা তরুনির প্রদর্শিত ছবিতে ধর্মীয় রং লাগিয়ে ভুয়ো পোস্ট শেয়ার করা হচ্ছে।

Title:জাপানের একটি প্রদর্শনীর ছবিকে ভারতীয় নির্যাতিতা দাবি করে ভুয়ো পোস্ট ভাইরাল
Fact Check By: Nasim AResult: False