
ফ্রান্সের পন্য বয়কট। সোশ্যাল মিডিয়ায় ফের একই ভুয়ো দাবির সাথে ভিন্ন আরেকটি ভিডিও শেয়ার করা হচ্ছে। এর আগে সৌদি আরবের আল-কাসিম জেলার নষ্ট হয়ে যাওয়া মুরগির মাংস ফেলার একটি ভিডিও শেয়ার করে এই ভুয়ো দাবি করা হয়েছিল। নতুন করে অন্য এই ভিডিওটির শেয়ার শুরু হয় বাংলাদেশের কিছু গ্রুপ থেকে এবং তারপর তা ভারতেও ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে শপিং কার্ট থেকে পন্য একটি গাড়িতে তোলা হচ্ছে। এটির ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “কুয়েত সমস্ত ফ্রান্স পণ্য আবর্জনায় রাখা হচ্ছে…”।
তথ্য যাচাই করে আমরা দেখতে পেয়েছি এই দাবি ভুয়ো এবং বিভ্রান্তিকর। চলতি বছরের মে মাসের সৌদি আরবের আহ –আহসা পৌরসভার তরফে নষ্ট হয়ে যাওয়া ১৬২৮ প্যাকেট চিজ ফেলে দেওয়া হয়। এটি ওই ঘটনারই ভিডিও।
তথ্য যাচাই
ভিডিওটিকে ‘ইনভিড উই-ভেরিফাই’ টুলে কয়েকটি ফ্রেমে ভেঙ্গে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ‘আল মার্সড’ নামে সৌদি আরবের একটি আরবি ভাষার সংবাদমাধ্যমে এর অনুসন্ধান পাই। গুগলে ট্রান্সলেট করে দেখতে পাই এই প্রতিবেদনটি ৬ মে প্রকাশ করা হয়েছে। আরও জানতে পারি এর আগেও এই ভিডিওটি সৌদিতেও ভুয়ো দাবির সাথে ভাইরাল করা হয়েছিল। পরে সৌদি প্রশাসন স্পষ্ট করে জানান যে এটি আল-কাসেম পৌরসভার ভিডিও। নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারনে অনেকগুলি চিজের প্যাকেট ফেলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এর সাথে কোনও ঘটনার কোনও সম্পর্ক নেই।

‘অ্যান্টি রুমার’ নামে সৌদির একটি ফ্যাক্ট চেকিং সংবাদমাধ্যমের তরফেও এই ভিডিওটিকে চিজ ফেলে দেওয়ার ঘটনা বলেই দাবি করা হয়।
এরপর কিওয়ার্ড সার্চ করে সংবাদমাধ্যম ‘গালফ নিউজ’-এর একটি প্রতিবেদনে এই একই ঘটনার উল্লেখ দেখতে পাই। এখানেও একই কথা বলা হয়। এই ভিডিওটি সৌদিতে ভাইরাল হওয়ার পর প্রশাসনের তরফে জানানো হয়ে নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারনে ১৬২৪টি চিজের প্যাকেট ফেলে দেওয়া হয়।

নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুল। চলতি বছরের মে মাসের সৌদি আরবের আল –আহসা পৌরসভার তরফে নষ্ট হয়ে যাওয়া ১৬২৮ প্যাকেট চিজ ফেলে দেওয়া হয়। এটি ওই ঘটনারই ভিডিও।