
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি শেয়ার করা হচ্ছে যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি মেয়ে চেয়ারে বসে আছে এবং ইউনিফর্ম পরিহিত একদল পুলিশ তাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে। দাবি করা হচ্ছে, চেয়ারে বসা এই মেয়েটি উর্দু মাধ্যম থেকে পড়ে মহারাষ্ট্রের প্রথম মহিলা মুসলিম হিসেবে এসপি পদাধিকারি হয়েছেন। এই পোস্টের ক্যাপশনে লেখা আছে,
“মহারাষ্ট্রের উর্দু মাধ্যম থেকে প্রথম মুসলিম মহিলা এসপি স্বাগতম । আমরা গর্বিত হলাম । ভারতবর্ষ শক্তিশালী হবে এভাবেই । গুন্ডারাজ বেশিদিন স্থায়ী হয়না ।লুঠতরাজের সরকার স্থায়ী হয়না ।আবার সু দিন আসবে ।“
ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো তথ্য যাচাই করে দেখতে পেয়েছে এই দাবিটি ভুয়ো এবং বিভ্রান্তিকর।
তথ্য যাচাইঃ ভারতে এসপি বা ওই জাতীয় পুলিশের পদের যোগ্যতা হিসেবে নুন্যতম ২১ বছর বয়স নির্ধারিত রয়েছে। ছবির এই মেয়েটিকে দেখেই আমরা বুঝতে পারি তার বয়স ২১শের কম। এই ছবিটি দিয়ে গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে আমরা ইংরেজি সংবাদপত্র টাইমস অফ ইন্ডিয়ার চলতি বছরের ৫ই মার্চের একটি প্রতিবেদন (আর্কাইভ) খুঁজে পাই। সেখানে একটি ভিডিও দেওয়া রয়েছে যার সাথে আমরা ছবিটির হুবহু মিল পাই। ওই প্রতিবেদনটি অনুযায়ী, “৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে এক অভিনব উদ্যোগে মহারাষ্ট্রের বুলধানা জেলার আধিকারিকরা মালকাপুর তহসিলের জিলা পরিষদ উর্দু হাই স্কুলের ১৪ বছর বয়সী ছাত্রী শাহরিস কানওয়ালকে একদিনের জন্য ডিসট্রিক্ট সুপার ইন্টেনডেন্ট অফ পুলিশ (ডিএসপি)-এর পদ দেন।“
স্বাভাবিক ভাবেই প্রতিবেদনের এই ভিডিওটি টাইমস অফ ইন্ডিয়ার ইউটিউব চ্যানেলও পেয়ে যাই।
শাহরিস কানওয়াল নাম দিয়ে গুগলে কিওয়ার্ড সার্চ করে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার আরেকটি প্রতিবেদন (আর্কাইভ) থেকে জানতে পারি, আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সরকারি স্কুলের বেশ কয়েকজন ছাত্রীকে একদিনের জন্য কালেক্টার ও ডিএসপি হওয়ার সুযোগ দেন বুলধানা জেলার আধিকারিকরা। তাদের মধ্যেই একজন ছিল শাহরিস কানওয়াল।“
ফলাফলঃ তথ্য যাচাই করার পর ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুল। শাহরিস কানওয়াল নামে এই মেয়েটি মহারাষ্ট্রের উর্দু মাধ্যম থেকে প্রথম মুসলিম মহিলা এসপি নন। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে এক অভিনব উদ্যোগে তাকে একদিনের জন্য ডিএসপির পদ দেওয়া হয়েছিল।

Title:ছবির এই মেয়েটি কী সত্যি মহারাষ্ট্রের উর্দু মাধ্যম থেকে হওয়া প্রথম মুসলিম মহিলা এসপি?
Fact Check By: Rahul AResult: False