সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভুয়ো পোস্ট শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, ক্ষমতার এলে রাজবংশীদের জমি কেড়ে নেওয়া হবে এমন মন্তব্য করেছেন কোচবিহার উত্তরের বিজেপি প্রার্থী সুকুমার রায়। পোস্টে দেখা যাছে একটি সংবাদপত্রের একটি প্রতিবেদন রয়েছে যার শিরোনামে লেখা রয়েছে, “কোচবিহার উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী সুকুমার রায়ের চাঞ্চল্যকর বয়ান”। এই প্রতিবেদনের তারিখ দেওয়া রয়েছে ৩০ মার্চ। এই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিজেপি ক্ষমতায় এল এক বিঘার বেশি যাদের জমি রয়েছে সেই সমস্ত রাজবংশীদের ভূমি কেড়ে নেওয়া হবে, মন্তব্য করেছেন বিজেপি প্রার্থী সুকুমার রায়। পোস্টের ক্যাপশনে লাখে রয়েছে, “নিজেকে কোচবিহার উত্তর বিধানসভার ভূমিপুত্র দাবি করা প্রার্থীর বক্তব‍্য....... ধিক্কার জানাই... বিজেপির গুন্ডা বাহিনী কে ধিক্কার”।

তথ্য যাচাই করে দেখতে পেয়েছি এই দাবি ভুয়ো এবং বিভ্রান্তিকর। উত্তরবঙ্গ সংবাদপত্রের ৩১ মার্চ সংস্করণের ছবিকে সম্পাদিত করে ভুয়ো দাবির সাথে ভাইরাল করা হচ্ছে।

ফেসবুক আর্কাইভ

তথ্য যাচাই

এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে প্রতিবেদনের শীর্ষক থেকে কিছু শব্দ নিয়ে কিওয়ার্ড সার্চ করি। ফলাফলে সংবাদমাধ্যম “উত্তরবঙ্গ সংবাদ”-এর একটি প্রতিবেদনে এই বিষয়ে একটি খবর দেখতে পাই। জানতে পারি, ওই সংবাদপত্রের ৩১ মার্চের প্রথম পাতাকে ব্যবহার করে সেখানে “কোচবিহার উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী সুকুমার রায়ের চাঞ্চল্যকর বয়ান” শীর্ষক একটি ভুয়ো খবর এডিট করে ছবি সহ বসিয়ে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদন আর্কাইভ

এরপর উত্তরবঙ্গ সংবাদের ই-পেপার আর্কাইভ থেকে ৩১ মার্চের সংস্করণ খুঁজে বের করি। দেখতে পাই, আসল সংস্করণে ওই যায়গায় লেখা রয়েছে “চুল ভেজালেও বেশি ভেজালন না মিঠুন”।

উত্তরবঙ্গ সংবাদকে যে সম্পাদিত করা হয়েছে তার আরেকটি প্রমান হল আসল এবং সম্পাদিত, দুই প্রতিবেদনের পাশেই লেখা রয়েছে “শা – দিদি “ এবং তার নিচে লেখা রয়েছে “নিশ্চিত জয়”।

নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুল। উত্তরবঙ্গ সংবাদপত্রের ৩১ মার্চ সংস্করণের ছবিকে সম্পাদিত করে ভুয়ো দাবির সাথে ভাইরাল করা হচ্ছে।

Avatar

Title:উত্তরবঙ্গ সংবাদপত্রের প্রথম পাতাকে সম্পাদিত করে ভুয়ো দাবির সাথে ভাইরাল করা হচ্ছে

Fact Check By: Rahul A

Result: Altered