আজান বিতর্কঃ ২০২০ সালের ভিডিওকে বিভ্রান্তিকর দাবির সাথে শেয়ার করা হচ্ছে

Communal False

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে একটি গ্রাফিক্স শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, মাইকে আজান বন্ধ করায় খোলা রাস্তায় আজান দিচ্ছে মুসলিমরা। ৩০ সেকেন্ডের এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পিচ ঢালায়ের এক রাস্তা এক ধার বরাবর সারি বদ্ধ ভাবে কয়েকজন লোক চিৎকার করে আজান দিচ্ছে। রাস্তার ওপর ধারে দেখা যাচ্ছে রাস্তার পাশে বেশ কিছু লোকজন। 

পোস্টের ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “ভারতের মুসলিম ভাইদের স্যালুট! মাইকে আযান বন্ধ করে দেওয়ায় এক সাথে রাস্তায় আজান দিচ্ছে। একেই বলে ঈমানি বল! ঈমানি শক্তি!! আল্লাহু আকবার!!!”

তথ্য যাচাই করে আমরা জানতে পারি পোস্টের দাবি ভুয়ো ও বিভ্রান্তিকর। ২০২০ সালের পুরনো ভিডিওকে সম্প্রতির আজান বিতর্কের সাথে জুড়ে ভুয়ো পোস্ট ভাইরাল করা হচ্ছে।   

ফেসবুক পোস্ট 

উল্লেখ্য, মহারাস্ত্র নবনির্মান সেনা পার্টির চেয়ারপার্সন রাজ ঠাকরে মে ৩ তারিখের মধ্যে মসজিদের ব্যবহৃত মাইকগুলো বন্ধ করার দাবি জানিয়েছিল মহারাষ্ট্র সরকারের কাছে। সাথে তিনি হুমকি দিয়ে জানিয়েছিলেন তা যদি না হয় এমএনএস কর্মীরা প্রতিশোধ হিসাবে মসজিদের বাইরে লাউডস্পিকারে হনুমান চালিসা বাজাবেন। 

তথ্য যাচাই 

এই দাবির সত্যতা যাচায় করতে আমরা ভিডিওটিকে ইনভিড টুলের মাধ্যমে কিফ্রেমে ভেঙ্গে গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চ করি। ফলাফলে বার্দা খান নামের এক ফেসবুক প্রোফাইলে এই ভিডিওটি খুঁজে পাই। ২০২০ সালের ২০ এপ্রিল তারিখে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে এবং ক্যাপশনের মাধ্যমে বলা হয়, “আমরা মুসলিমরা বিশ্বাস করি রোগ বাড়লে যে স্থানেই হোক না কেন, সেখানে এশার পর দাড়িয়ে আযান দিলে রোগ কমে যায়, এখানেও তাই করছে নামায পড়া হচ্ছে না। এবং ভিডিওতে সামাজিক দূরত্বেরও যত্ন নেওয়া হয়েছে। কোন রাজনীতি নয় 🙏🙏।”

https://www.facebook.com/vradsk/posts/853863565131080

এখান থেকে স্পষ্ট হয়ে যাই, ভিডিওটি সম্প্রতির নয় বরং দুই বছর পুরনো। 

ভিডিওটি সনাক্ত করতে আমরা ভিডিওটিকে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করি। দেখা যায়, পেছনে থাকা একটি বোর্ডে হাওড়া লেখা রয়েছে এবং পিন নম্বরটি ৭ দিয়ে শুরু হয়েছে। পূর্ব ভারতের রাজ্য গুলির পিন নম্বর ৭ দিয়ে শুরু হয়। এখান থেকে অনুমান হয় ভিডিওটি পশ্চিমবঙ্গের। 

আমরা ডাঃ এন. রাই হোমিওপ্যাথি ক্লিনিক নামে একটি ক্লিনিকও খুঁজে পেয়েছি। গুগল সার্চের মাধ্যমে জানতে পারি এই হোমিওক্লিনিকটি পশ্চিমবঙ্গের হাওড়াতে অবস্থিত।

ফ্যাক্ট ক্রিসেণ্ডো ডাঃ এন. রায়-এর সাথে যোগাযোগ করে। তিনি আমাদের নিশ্চিত করেছেন ভিডিওটি হাওড়ার এবং ঘটনাটি ২০২০ সালে করোনাকালের। পিলখানার মসজিদগুলি লকডাউনের প্রথম পর্যায়ে বন্ধ ছিল। 

নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো সিদ্ধান্তে  এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুল ও ভিত্তিহীন। ২০২০ সালের পুরনো ভিডিওকে সম্প্রতির আজান বিতর্কের সাথে জুড়ে ভুয়ো পোস্ট ভাইরাল করা হচ্ছে। 

Avatar

Title:বলিউড তারকা টাইগার শ্রফ ও তারা সুতারিয়ার ইসলাম গ্রহণের খবরটি ভুয়ো

Fact Check By: Nasim A 

Result: False


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *