
চলতি মাসের ২২ তারিখ, শনিবার পালিত হয়ে
ছে মুসলিম সম্প্রদায়ের দীর্ঘ প্রতিক্ষিত ঈদ-উল-ফিতর। এই ঈদকে ঘিরেই একটি ভিডিও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে যে, আমেরিকার ভার্জিনিয়ার এক মসজিদে ঈদের খুতবা চলাকালীন এক হিন্দু মহিলা মসজিদে প্রবেশ করে অপ্রীতিকর পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করায় পুলিশ কর্মীরা তাকে জবরদস্তি ধরে নিয়ে যাচ্ছে। পোস্টের ভিডিওতে শাড়ি পরিহিত এক মহিলাকে এক পুলিশ কর্মীর সাথে তর্ক করতে দেখা যাচ্ছে। এই তর্ক বিতর্কের মধ্যেই দুই পুলিশ কর্মী মহিলাকে জোরপূর্বক মসজিদ থেকে বের করে নিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে।
পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, “যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় ঈদের নামাজের সময় এক হিন্দু মহিলা গিয়ে খুতবার স্থানে দাড়িয়ে শরিয়া বীরুধী বক্তব্য দেয়া শুরু করে শরিয়া এমন শরিয়া অমন হেন তেন, কিন্তু ভদ্র মহিলা ভুলেই যায় এটা আর ভারত না এটা ইউনাইটেড স্টেট অব আমেরিকা 😉।“
তথ্য যাচাই করে আমরা দেখতে পেয়েছি এই দাবি ভুয়ো এবং বিভ্রান্তিকর। মহিলাটি মুসলিম সম্প্রদায়েরই এবং তিনি একজন মানসিক রোগী, জানিয়েছেন মসজিদ কর্তৃপক্ষ।

তথ্য যাচাই
ইউটিউবে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে জানা যায় ভিডিওটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম মসজিদগুলির মধ্যে একটি ’অল ডুলস এরিয়া মুসলিম সোসাইটি’র (ADAMS)।
এই সুত্র ধরে আমরা ’অল ডুলস এরিয়া মুসলিম সোসাইটি’র (ADAMS) ফেসবুক, ইন্সতাগ্রাম প্রোফাইলে এই সংক্রান্ত কোন পোস্ট শেয়ার করা হয়েছে কি না খুঁজে দেখার চেষ্টা করি। ফলে, একটি পোস্ট পাওয়া যায় যেখানে স্পষ্ট করা হয়েছে যে- ঘটনায় যুক্ত মহিলাটি মুসলিম সম্প্রদায়ের এবং তিনি একজন মানসিক রোগী। ঈদের নামাজের সময় এই ঘটনার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে যারা ভিডিওটি পোস্ট করেছেন তারা যেনো দয়া করে পরিবারের গোপনীয়তা রক্ষার জন্য ভিডিওটি ডিলিট করে দেন।
ফেসবুক পোস্টের ভিডিও থেকে গৃহীত স্ক্রিনশট ও গুগল ম্যাপ্স থেকে গৃহীত ’অল ডুলস এরিয়া মুসলিম সোসাইটি মসজিদের তুলনামূলক ফ্রেম থেকে নিশ্চিত হয় যে ভিডিওটি ’অল ডুলস এরিয়া মুসলিম সোসাইটি মসজিদেরই। তুলনামূলক ফ্রেমটি নীচে দেখুনঃ

তথ্যের ভিত্তিতে প্রমানিত হয় যে, ঈদের নামাজের সময় অপ্রীতিকর পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টাকারী মহিলাটি হিন্দু সম্প্রদায়ের নয় বরং মুসলিম সম্প্রদায়ের এবং মহিলাটি মানসিক ভাবে সুস্থ নন। সুতরাং, ফেসবুক পোস্টের দাবি ভুয়ো।
নিষ্কর্ষঃ
তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেণ্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুয়া। মহিলাটি মুসলিম সম্প্রদায়েরই এবং তিনি একজন মানসিক রোগী, জানিয়েছেন মসজিদ কর্তৃপক্ষ।

Title:আমেরিকার ভার্জিনিয়ার মসজিদে ঈদের নামাজের সময় বাধাদানকারী মহিলাটি মুসলিম সম্প্রদায়েরই, হিন্দু নয়
Fact Check By: Nasim AResult: False