
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, ফাস্ট ট্যাগ থেকে টাকা চুরি করা হচ্ছে। ভাইরাল এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একজন ছেলে একটি গাড়ির কাচ পরিস্কার করছে এবং এরপর তাকে টাকা দিতে চাইলে সে দৌড়ে পালাচ্ছে। এরপর গাড়িতে বসে থাকা ড্রাইভার তার বন্ধুকে বলছেন জে ছেলেটি তার হাতে থাকা স্মার্ট ওয়াচ দিয়ে স্ক্যান করে পেটিএম ফাস্ট ট্যাগে থাকা সমস্ত টাকা বের করে নিয়েছে।
পোস্টের ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “টাকা হাতানোর নতুন পদ্ধতি ফাস্ট ট্যাগ থেকে, ভালো করে খেয়াল করে দেখুন।”
তথ্য যাচাই করে আমরা দেখতে পেয়েছি এই দাবি ভুল এবং বিভ্রান্তিকর। ফাস্ট ট্যাগ থেকে টাকা চুরি করার খবরটি সত্য নয়।
তথ্য যাচাই
এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে আমরা কিওয়ার্ড সার্চ করি। ফলাফলে একটি টুইটে ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (NCPI) দ্বারা জারি করা বিবৃতি দেখতে খুঁজে পাই যেখানে বলা হয় ভাইরাল ভিডিও ভিত্তিহীন। এই বিবৃতিতে বলা হয়, ফাস্ট ট্যাগ শুধুমাত্র গ্রাহক এবং মার্চেন্টের মধ্যে লেনদেনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “ভাইরাল ভিডিওটি ‘বিভ্রান্তিকর এবং অসত্য’। কোনও ইন্টারনেট সুবিধা ব্যবহার করে ফাস্ট ট্যাগ থেকে টাকা লেনদেন করা সম্ভব নয়। ব্যাঙ্কের সাথে সরাসরি সংযোগ আছে এমন প্রতিটি টোল বা পার্কিং সিস্টেমের জন্য একটি অনন্য কোড জারি করা হয়। প্রতিটি ব্যাঙ্ককে একটি অনন্য কোড প্রদান করা হয় যা অর্থ সরাসরি ব্যাঙ্কে স্থানান্তর করার সুবিধা প্রদান করে।”
এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর অনলাইন মার্চেন্ট পেটিএমও একটি টুইট করে এই দাবিকে ভুল বলে। টুইটে লেখা হয়, “Paytm ফাস্ট ট্যাগের একটি জাল ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে যাতে একটি স্মার্ট ওয়াচ দ্বারা ফাস্ট ট্যাগ স্ক্যান করা হচ্ছে। NBTC নির্দেশিকা অনুসারে, ফাস্ট ট্যাগ লেনদেন শুধুমাত্র অনুমোদিত ব্যবসায়ীদের দ্বারা শুরু করা যেতে পারে। ফাস্ট ট্যাগ ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিরাপদ।”
পিআইবি ফ্যাক্ট চেকও এই দাবিকে মিথ্যা বলে প্রমাণ করে। একটি টুইট করে পিআইবি এই ভাইরাল ভিডিওকে ভুয়ো এবং ভিত্তিহীন বলে।
ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো গুজরাটি সাইবার বিশেষজ্ঞ লাকিরাজ সিং জাল্লার সাথে যোগাযোগ করে। তিনি জানান, “ফাস্ট ট্যাগ রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করে কাজ করে। এজন্য টোল বুথে বিভিন্ন টুল ব্যবহার করা হয়। এই টুলটি গাড়ির সাথে সংযুক্ত ফাস্ট ট্যাগ স্ক্যান করে এবং ফাস্ট ট্যাগ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেয়। ভাইরাল ভিডিওর দাবি মিথ্যা।”
স্ক্যান করে কি ফাস্ট ট্যাগ থেকে তোলা যায়, তিনি বলেন, “এটি সম্ভব নয়। ফাস্ট ট্যাগ সম্পূর্ণ নিরাপদ।”
নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুল ও ভিত্তিহীন। ফাস্ট ট্যাগ থেকে টাকা চুরি করার খবরটি সত্য নয়।

Title:স্ক্যান করে ফাস্ট ট্যাগ থেকে টাকা চুরি করা যায়? জানুন সত্যতা
Fact Check By: Rahul AResult: False