
ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়াই শেয়ার করা হচ্ছে অনেক প্রাসঙ্গিক, অপ্রাসঙ্গিক ছবি, ভিডিও। সম্প্রতি একটি ভিডিও পোস্ট আমাদের নজরে পড়ে যা শেয়ার করে ফেসবুক ব্যবহারকারী দাবি করেছে তেল আবিবে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ভিডিও। ফেসবুক পোস্টের ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বহুতল একটি ভবনে বিশাল বিস্ফোরণ হয়ে উঠলো।
পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়েছে,”এই ভিডিও টা যতবার দেখেছি, ততবার তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেছি। আলহামদুলিল্লাহ। তেল আবিবে ইরানের হাইপারসনিক মিসাইলের ডিরেক্ট হিট।“
তথ্য যাচাই করে আমরা পেয়েছি দাবিটি মিথ্যা। ভিডিওটি ২০২৩ সালের মস্কোর। ইসরায়েলে সাম্প্রতিক ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সাথে এর কোনো যোগসূত্র নেই।
তথ্য যাচাইঃ
এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে ভিডিওর কি ফ্রেমগুলোকে গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চ করি। ‘এনবিসি’-এর উপস্থাপন অনুযায়ী, ভিডিওটি রাশিয়ার মস্কোতে ইউক্রেনিয়ান ড্রোন হামলার। সপ্তাহান্তে মস্কোতে ড্রোন বিল্ডিংগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। রাশিয়ার সামরিক বাহিনী বলেছে যে তারা তিনটি ড্রোনকে গুলি করেছে এবং কর্তৃপক্ষ কাছাকাছি একটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট স্থগিত করেছে।
FRANCE 24 English-এর ভিডিও উপস্থাপনেই এটিকে রাশিয়ার মস্কোতে ইউক্রেনিয়ান ড্রোন হামলার বলে জানানো হয়েছে। ড্রোন হামলার এই ঘটনাটি ঘটেছিলো ২০২৩ সালের ৩০ জুলাই তারিখে।
ভিডিওর দৃশ্য সম্বলিত ‘বিবিসি’র ৩০ জুলাই, ২০২৩, তারিখের প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে,”রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রবিবার তিনটি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। দুটি অফিস বিধ্বস্ত হয়েছে। রবিবার মস্কোর একটি ভবনের কাছে একটি বিস্ফোরণের ফুটেজ কাছাকাছি প্রত্যক্ষদর্শীরা এবং একটি গাড়ির ড্যাশক্যামে ধারণ হয়েছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, একজন আহত হয়েছেন। রাশিয়া এই হামলার পিছনে ইউক্রেনকে অভিযুক্ত করেছে এবং বলেছে যে শহরের কেন্দ্রের পশ্চিমে ওডিনসোভো জেলায় একটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছিল এবং অন্য দুটি নিরপেক্ষ করা হয়েছিল কিন্তু অফিসগুলিতে বিধ্বস্ত হয়েছিল। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা ঘটনার কথা স্বীকার করেননি।“
নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে ফ্যাক্ট ক্রিসেণ্ডো এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, ভাইরাল ভিডিওটি পুরানো এবং মস্কোর। ইসরায়েলে সাম্প্রতিক ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সঙ্গে এর কোনো যোগসূত্র নেই।

Title:তেল আবিবে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নামে মস্কোর পুরনো ভিডিও ভাইরাল
Fact Check By: Nasim AkhtarResult: False