একজন নাবালককে খুনের দায়ে আদালতে তোলার ছবিকে ভুয়ো মনগড়া গল্পের সাথে শেয়ার

False International

সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে একটি পোস্ট শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, খাবার চুরির দায়ে একজন নাবালককে আদালতে তোলা হল। পোস্টে দেওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি নাবালক আদালতের কাঠগড়া জাতীয় জায়গায় দাড়িয়ে আছে এবং তাকে ঘিরে রয়েছে ৪-৫ জন পুলিশ কর্মী। 

পোস্টে একটি লম্বা ক্যাপশন রয়েছে যার সারমর্ম হল, ছেলেটি খাবার চুরি করতে ধরা পড়ে। এরপর তাকে আদালতে তোলা হল এবং সেখানে বিচারক ছেলেটির পরস্থিতিন দেখে দুঃখ পান এবং বলেন একটি ছেলেকে খাবার চুরি করতে হচ্ছে তা খুবই লজ্জাজনক ব্যাপার। এরপর আদালতের উপস্থিত সবাইকে ১০ ডলার জরিমানা করেন এবং নিজেই পকেট থেকে দশ ডলার বের করে সমস্ত টাকা ছেলেটির হাতে তুলে দেন।

তথ্য যাচাই করে আমরা দেখতে পেয়েছি এই দাবি ভিত্তিহীন এবং বিভ্রান্তিকর। ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ১২ বছরের একজন ছেলেকে খুনের দায়ের আদালতে তোলার ছবিকে মনগড়া ভুয়ো গল্পের সাথে ভাইরাল করা হচ্ছে। 

ফেসবুক পোস্ট আর্কাইভ

তথ্য যাচাই

এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে ছবিটিকে গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চ করি। ফলাফলে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ‘জ্যাকশন জুভেনাইল’-এর অনুসন্ধান পাই। জানতে পারি এটি ২০১২ সালের ঘটনা। কমলা রঙের পোশাক পরা এই ছেলেটির নাম ক্রিস্টিয়ান হুয়ান ফার্নান্দেজ। তার বয়স ১২ বছর। তার বৈপিত্রেয় দুই বছর বয়সী ভাই গলরাগাকে শ্বাসরোধ করা হত্যা করা অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এটি ফ্লোরিডার জ্যাকসিনভিল শহরের ঘটনা। তার বিরুদ্ধে ফার্স্ট-ডিগ্রি খুনের চার্জ দেওয়া হয়।

প্রতিবেদন আর্কাইভ

ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম ‘ডেইলি মেইল’-এর ২০১২ সালের একটি প্রতিবেদনে এই খবরটি দেখতে পাই। এই প্রতিবেদনে তার এমন করার পেছনের কারণ কি এবং সে কেমন পরিস্থিতি মধ্যে বড় হয়েছে এই সমস্ত কিছু তথ্য পাওয়া যায়। 

২০১২ সালে তাকে শাস্তি দেওয়ার পর তার বয়স ১৯ বছর অবধি অর্থাৎ ২০১৮ সালে তাকে মুক্তি দেওয়া হয় বলে জানা যায় কয়েকটি সংবাদ সূত্র থেকে। তবে ছাড়া পাওয়ার তাকে ৮ বছর অবধি নজরাধীন রাখা হবে বলে জানা যায়। 

নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুল ও ভিত্তিহীন। ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ১২ বছরের একজন ছেলেকে খুনের দায়ের আদালতে তোলার ছবিকে মনগড়া ভুয়ো গল্পের সাথে ভাইরাল করা হচ্ছে।

Avatar

Title:একজন নাবালককে খুনের দায়ে আদালতে তোলার ছবিকে ভুয়ো মনগড়া গল্পের সাথে শেয়ার

Fact Check By: Rahul A 

Result: False


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *