
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে একটি ছবি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, প্রকাশ্য রাস্তা থেকে নামাজরত মুসলিমদের তুলে দিচ্ছে ফ্রান্স সরকার। পোস্টের ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি রাস্তায় বসে থাকা কয়েকজন বোরখা পরিহিত মেয়েদের দিকে জল ছোঁড়া হচ্ছে। এরপর তারা জল থেকে বাঁচতে রাস্তা ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে।
পোস্টের ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “🌼শেষ পর্যন্ত ফ্রান্স কাজ শুরু করে দিয়েছে। রাস্তা দখল করে নামাজীদের তুলে দিচ্ছে রাস্তার থেকে। আশাকরি এবারেও দেখতে পাবো “বয়কট ফ্রান্স” নামের নাটক কিছু দেশ।😊👍”
তথ্য যাচাই করে আমরা জানতে পারি পোস্টের দাবি ভুয়ো ও বিভ্রান্তিকর। ২০১২ সালে তুরস্কের প্রকাশ্য রাস্তায় জুম্মার নামাজ আদায়ের মাধ্যমে বিক্ষোভ প্রদর্শনের পুরনো ভিডিওকে ফ্রান্সের ঘটনা দাবি করে ভুয়ো পোস্ট ভাইরাল করা হচ্ছে।
যে কোনও সন্দেহজনক ভুয়ো ছবি, পোস্ট এবং ভিডিও পাঠান আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমরা সত্যতা যাচাই করে আপনাকে উত্তর জানাবো। আমাদের নম্বর: +91 90490 53770
তথ্য যাচাই
পোস্টের দাবির সত্যতা যাচাই করতে আমরা ভিডিওটিকে ইনভিড টুলের মাধ্যমে কি ফ্রেমে ভেঙ্গে গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চ করি। ফলে ‘Yüksekova Haber Portalı’ নামের এক ইউটিউব চ্যানেলে এই ভিডিওটি খুঁজে পাই। ২০১২ সালের ৯ নভেম্বর তারিখে আপলোড করা এই ভিডিওর বিবরনে ভিডিওটিকে তুরস্কের বলে জানানো হয়েছে। ভিডিওর শীর্ষকে লেখা হয়েছে , “গ্যাস বোমা সঙ্গে নাগরিক শুক্রবার প্রার্থনা।”
এই সুত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে তুর্কি সংবাদমাধ্যম ‘haber7’-এর একটি প্রতিবেদনে এই ঘটনার উল্লেখ পাই। ৯ নভেম্বর, ২০১২, তারিখে প্রকাশিত এই প্রতিবেদন অনুযায়ী, তৎকালীন সময়ে কারাগারে চলাকালীন আমরন অনশনের প্রতি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ছাত্রদের একটি দল চেঙ্গিজ টোপল স্ট্রিটের প্রকাশ্য রাস্তায় শুক্রবারের জুম্মা নামাজ রাস্তায় আদায়ের মাধ্যমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এই বিক্ষোভ রুখতে করতে নামাজীদের ওপর গ্যাস বোমা ও কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়া হলে বিক্ষোভকারীদের আক্রোশ আরও বেড়ে যায়।

তুরস্কের অন্য একটি সংবাদমাধ্যমে এই ঘটনা কেন্দ্রীক প্রতিবেদন পাওয়া যায় যেখানে একই ঘটনার বিবরণ দেওয়া হয়।

Haberturk নামের তুর্কিশ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন। বন্দীদের আমরন অনশনের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে সংবাদমাধ্যম ‘আল জাজিরা’-এর প্রতিবেদন পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
তথ্য ও প্রমানের ভিত্তিতে প্রমানিত হয় ভাইরাল এই ভিডিওটি ২০১২ সালের তুরস্কের একটি ঘটনা।
নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিস্যান্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুল ও ভিত্তিহীন। ২০১২ সালে তুরস্কের প্রকাশ্য রাস্তায় জুম্মার নামাজ আদায়ের মাধ্যমে বিক্ষোভ প্রদর্শনের পুরনো ভিডিওকে ফ্রান্সের ঘটনা দাবি করে ভুয়ো পোস্ট ভাইরাল করা হচ্ছে।

Title:২০১২ সালে তুরস্কের বিক্ষোভ প্রদর্শনের একটি ভিডিওকে ভুয়ো সাম্প্রদায়িক দাবির সাথে ভাইরাল করা হচ্ছে
Fact Check By: Nasim AResult: False