
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, ছেলের মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়লেন সীতারাম ইয়েচুরি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল দেশবাসী। দৈনিক সংক্রমণের হার দু’লক্ষের বেশি, মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। একসাথে সংক্রমণ অনেক বেশি বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা ছাড়াই প্রাণ হারিয়েছেন অনেকে। কোথাও হাসপাতালে বেড নেই আবার কোথাও অক্সিজেনের অভাব। দেশজুড়ে চলছে করোনা ত্রাস। এই করোনায় ছোবলে ছেলেকে হারিয়েছেন সিপিআইএম (CPIM)-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। এই ভুয়ো পোস্ট শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে ছবিতে যে দুজনকে দেখা যাচ্ছে তার মধ্যে একজন হলেন ইয়েচুরি। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “পুত্রশোক, কান্নায় ভেঙে পড়লেন পিতা সীতারাম ইয়েচুরি।“
তথ্য যাচাই করে আমরা দেখতে পেয়েছি এই দাবি ভুয়ো এবং বিভ্রান্তিকর। ছবিতে যাদের দেখা যাচ্ছে তাদের কেউই সীতারাম ইয়েচুরি নন।


তথ্য যাচাই
এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে ছবিটিকে গুগল সহ বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে রিভার্স ইমেজ সার্চ করি। ফলাফলে সংবাদমাধ্যম “নিউজ ১৮”-এর একটি প্রতিবেদনে ছবিটিকে দেখতে পাই। ছবির ক্যাপশনে ইংরেজি ভাষায় লেখা রয়েছে, “দিল্লীর এক শ্মশানে করোনায় মৃত ব্যক্তির চিতার পাশে পিপিই (PPE) পরে আত্মীয় পরিজনরা শোকপালন করছে। (রয়টার্স)”

প্রতিবেদন | আর্কাইভ |
এরপর ছবির ক্যাপশনে থেকে কিছু শব্দ নিয়ে প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড সার্চ করে সংবাদ সংস্থা “রয়টার্স”-এর ওয়েবসাইটে ছবিটিকে খুঁজে বের করি। চলতি বছরের ২১ এপ্রিল এই ছবিটি পোস্ট করা হয়েছে। দু’বার পুলিৎজার সম্মান প্রাপক আদনান আবিদী ছবিটি তুলেছেন। ছবির ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “২১ এপ্রিল, ২০২১, ভারতের দিল্লীর এক শ্মশানে করোনায় মৃত ব্যক্তির চিতার পাশে পিপিই (PPE) পরে আত্মীয় পরিজনরা শোকপালন করছে। রয়টার্স/আদনান আবিদী।”

এরপর ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো চিত্রগ্রাহক আদনান আবিদী-এর সাথে যোগাযোগ করে। তাকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করায় তিনি জানান ছবিতে যাদের দেখা যাচ্ছে তাদের কেউই সীতারাম ইয়েচুরি নন এবং এই ছবির সাথে ইয়েচুরির ছেলের মৃত্যুর কোনও সম্পর্ক নেই।
নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত পোস্টটি ভুল। ছবিতে যাদের দেখা যাচ্ছে তাদের কেউই সীতারাম ইয়েচুরি নন।

Title:না, ছবিতে যাদের দেখা যাচ্ছে তাদের কেউই সীতারাম ইয়েচুরি নন
Fact Check By: Rahul AResult: False