
বাংলা-ওড়িশা উপকূলেই অভিমুখে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’। বুধবার এটি আছড়ে পড়তে পারে সাগর থেকে পারাদ্বীপের মাঝে স্থলভাগে। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘যশ’ নিয়ে ভুয়ো খবরের সাইক্লোন আছড়ে পড়েছে। সম্প্রতি একটি পুরনো ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ উড়িষ্যাতে ঢুকে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়ায় গাছপালা উড়ে যাচ্ছে এবং বাতাসের শোঁ শোঁ শব্দ শোনা যাচ্ছে। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “Omg😮 Eatay ki #_Yash…😭😭😭 এবার ঢুকে পড়েছে জোস্ ঋড ওডিশাতে পশ্চিমবঙ্গে তে ঢুকার সম্ভাবনা রয়েছে 😭😭😭”।
তথ্য যাচাই করে আমরা দেখতে পেয়েছি এই দাবি ভিত্তিহীন এবং ভুয়ো। ২০১৬ সালের একটি ভিডিওকে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’-এর সাথে যুক্ত করে বিভ্রান্তিকর পোস্ট ভাইরাল করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অতি শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ১৬০ থেকে ১৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত। এই ঘূর্ণিঝড়ের বিস্তৃতি অনেকটা বেশি বলেই ক্ষতির আশঙ্কা বেশি এলাকায় হবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। মঙ্গলবার থেকেই উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
তথ্য যাচাই
ভিডিওটিকে ‘ইনভিড-উই-ভেরিফাই’ টুলে কয়েকটি ফ্রেমে ভাগ করে গুগল সহ বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে রিভার্স ইমেজ সার্চ করি। ফলাফলে, ফেসবুক এবং ইউটিউবে এই ভিডিও দেখতে পাই। ২০১৭ সালের ৫ মে সেপ্টেম্বর করা এই ফেসবুক ভিডিওর শীর্ষকে লেখা “হ্যারিকেন আর্মা”। অন্যদিকে উইটিউইবের ভিডিওটি ২০১৬ আপলোড করা হয়েছে।
প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড সার্চ করে দেখতে পাই ‘স্নোপ্স’ নামে একটি ওয়েবসাইট ২০১৭ সালে এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করে। জানতে পারি, এটি ২০১৬ সালের উরুগুয়ের একটি ঘূর্ণিঝড়ের ঘটনা।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে পাঁচ বছর আগের এই ঘূর্ণিঝড়ের খবর দেখতে পাই। এছাড়া, ‘গাস্ট ফ্রন্ট’ নামে একটি ওয়েবসাইটে এই খবরের সাথে ভাইরাল হওয়া ভিডিওর কিছু দৃশ্য দেখতে পাই। অতএব, স্পষ্ট হয়ে যায় এই ভিডিওর সাথে ‘যশ’-এর কোনও সম্পর্ক নেই।

নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত পোস্টটি ভুল। ২০১৬ সালের একটি ভিডিওকে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’-এর সাথে যুক্ত করে বিভ্রান্তিকর পোস্ট ভাইরাল করা হচ্ছে।