উলের তৈরি খেলনাকে দুর্লভ আলবিনো বাদুড় দাবি করে ভুয়ো পোস্ট ভাইরাল

False Social

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কয়েকটি ছবি শেয়ার করে সেটিকে আলবিনো বাদুড় বলে দাবি করে হচ্ছে। পোস্টে মোট চারটি ছবি রয়েছে এবং সবগুলিতেই একটি সাদা রঙের বাদুড়ের মতো দেখতে প্রাণীকে দেখা যাচ্ছে। পোস্টের ক্যাপশনে ইংরেজি ভাষায় লেখা রয়েছে, “শিশু আলবিনো বাদুর।“

তথ্য যাচাই করে আমরা দেখতে পেয়েছি এই দাবি বিভ্রান্তিকর এবং বানোয়াট। একজন রাশিয়ান শিল্পীর তৈরি উলের খেলনাকে আলবিনো বাদুড় দাবি করে ভুয়া পোস্ট ভাইরাল করা হচ্ছে। 

আলবিনো বাদুড় হল নিশাচর বাদুড়ের একধরণের প্রজাতি। এর গায়ের রঙ সাদা হয়। ১৮৯২ সালে আমেরিকান প্রাণিবিজ্ঞানী হ্যারিসন অ্যালেন প্রথম এই প্রজাতি আবিষ্কার করেন। ফিলিপাইন ও মেক্সিকোতে বিচরন বেশি এই দুর্লভ প্রাণীর

ফেসবুক পোস্টআর্কাইভ
ফেসবুক পোস্টআর্কাইভ

তথ্য যাচাই

এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে প্রথমে ছবিটিকে গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চ করি। ফলাফলে ‘আন্না ইস্ত্রেজেম্বোভস্কায়া (Anna Yastrezhembovskaya)’ নামের একজন রাশিয়ান শিল্পীর ইন্সতাগ্রাম প্রোফাইল এর অনুসন্ধান পাওয়া যায়। ২০১৯ সালের ১১ অক্টোবর এই ছবিগুলি শেয়ার করা হয়েছিল। আন্নার ইন্সতাগ্রাম বায়ো পড়ে জানতে পারি তিনি আসল প্রাণীর মতো দেখতে উলের খেলনা তৈরি করেন। তার প্রোফাইলে এরকম আরও বিভিন্ন রকমের উলের খেলনা পাওয়া যা একেবারে জীবিত প্রানীর মতো দেখতে। 

আন্নার প্রোফাইলে দেওয়া একটি লিঙ্ক থেকে জানতে পারি তিনি অনলাইন শপিং-এর ওয়েবসাইট ‘Etsy’-তে তার বানানো উলের তৈরি খেলনা বিক্রয় করেন। সেখানে ভাইরাল ছবির সাদা বাদুড়টিকেও দেখতে পাওয়া যায়। 

Etsy ওয়েবসাইট লিঙ্ক আর্কাইভ

২০২০ সালের অগস্ট মাসে শিল্পী আন্না কিভাবে এই খেলনা গুলি তৈরি করেন তার একটি ভিডিও তার ইন্সতাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করেন। ভিডিওতে তাকে একটি কালো বাদুড় তৈরি করতে দেখা যায়।

সমস্ত যুক্তি প্রমাণ থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় ভাইরাল পোস্টে যেটিকে আলবিনো বাদুড় দাবি করা হচ্ছে সেটি আসলে একটি উলের তৈরি খেলনা। 

নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুল ও ভিত্তিহীন। একজন রাশিয়ান শিল্পীর তৈরি উলের খেলনাকে আলবিনো বাদুড় দাবি করে ভুয়া পোস্ট ভাইরাল করা হচ্ছে।

Avatar

Title:উলের তৈরি খেলনাকে দুর্লভ আলবিনো বাদুড় দাবি করে ভুয়ো পোস্ট ভাইরাল

Fact Check By: Rahul A 

Result: False

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *