না, প্রধানমন্ত্রীর কান্নাকে নিয়ে কোনও প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি নিউ ইয়র্ক টাইমস

Altered Political

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, দি নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর প্রথম পাতায় প্রধানমন্ত্রীর কান্না নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে নিউ ইয়র্ক টাইমস কাগজের প্রথম পাতার মুখ্য খবর একটি কুমিরের ছবি দেওয়া রয়েছে যার চোখ থেকে জল পড়ছে এবং শিরোনামে লেখা রয়েছে “ভারতের প্রধানমন্ত্রী কাঁদলেন”। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কুমিরের কান্না নিয়ে সমালোচনা করল নিউ ইয়র্ক টাইমস, এই বিষয়ে আপনারা কি বলবেন?”

এখানে বলে রাখা ভালো, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বারাণসীতে করোনা যোদ্ধা ও চিকিৎসকদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। চোখের জল না এলেও গলা ভারী হয়ে আসে প্রধানমন্ত্রীর। যা নিয়ে তুঙ্গে ওঠে চর্চা। মোদী বিরোধী এই ঘটনাকে ‘কুমিরের 

তথ্য যাচাই করে আমরা দেখতে পেয়েছি এই দাবি ভুয়ো ও বিভ্রান্তিকর। নিউ ইয়র্ক টাইমসে’র প্রথম পাতাকে সম্পাদিত করে ভিত্তিহীন দাবির সাথে ভাইরাল করা হচ্ছে।

ফেসবুক আর্কাইভ 

তথ্য যাচাই 

ভাইরাল ছবিটি ভালোভাবে লক্ষ করে দেখতে পাই এটি ২১ মে তারিখের কাগজ। এরপর গুগুলে প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড সার্চ করে নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর ওয়েবসাইট থেকে ২১ মে’র ই-পেপার খুঁজে বের করি। এই সংস্করণে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কোনও প্রতিবেদন দেখতে পাই না। প্রথম পাতার মুখ্য প্রতিবেদনে সিরিয়ায় সৌরশক্তির ব্যবহারের উর্দ্ধগতি নিয়ে একটি খবর রয়েছে এবং মূল ছবিতে সিরিয়ার একটি ছবি দেওয়া আছে। 

নিচে ভাইরাল পোস্টের ছবি এবং নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর আসল প্রথম পাতার তুলনা করা হল।

এছাড়া, আরও দেখতে পাই ‘দ্যা ডেইলি নিউ ইয়র্ক টাইমস’ একটি টুইটার হ্যান্ডেল থেকে এই ছবিটি সবচেয়ে প্রথমে পোস্ট করা হয়েছে। টুইটের ক্যাপশনে লেখা রয়েছে “কিছু আন্তর্জাতিক খবর”। পরে ছবিটি ভাইরাল হয়ে যাবার পর ওই পোস্টটিকেই রিটুইট করে ওই হ্যান্ডেল থেকে জানানো হয়ে “আবারও স্পষ্ট করে বলছি এটি একটি ব্যাঙ্গাত্মক পোস্ট। এটিকে গম্ভীরভাবে নেবেন না”। 

https://twitter.com/NewYokNewz/status/1395941899593129989

আর্কাইভ

ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো ‘দ্যা ডেইলি নিউ ইয়র্ক টাইমস’ নামে এই টুইটার ইউজারের সাথে যোগাযোগ করে। তিনি আমাদের জানান, “এই দাবি একেবারেই ভুয়ো। আমি ছবিটিকে ডিজিটাল ভাবে সম্পাদিত করেছি একটি কৌতুক হিসেবে। আপনি দেখতে পাবেন আমার টুইটার বায়োতে লেখা রয়েছে এটি একটি প্যারোডি অ্যাকাউন্ট। নিউ ইয়র্ক টাইমস মোদীকে নিয়ে এরকম কোনও খবর প্রকাশ করেনি।

নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুল। নিউ ইয়র্ক টাইমসে’র প্রথম পাতাকে সম্পাদিত করে ভিত্তিহীন দাবির সাথে ভাইরাল করা হচ্ছে।

Avatar

Title:না, প্রধানমন্ত্রীর কান্নাকে নিয়ে কোনও প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি নিউ ইয়র্ক টাইমস

Fact Check By: Nasim A 

Result: Altered


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *