
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে একটি ছবি শেয়ার করে দাবি করে সেটিকে ৩৬ বছর ব্যাবধানে ফোঁটা নাগা পুশ ফুল বলে দাবি করা হচ্ছে। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “এটি হিমাচল প্রদেশের নাগা পুশ ফুল যা 36 বছরে একবার ফুল ফোটে।”
তথ্য যাচাই করে আমরা জানতে পারি পোস্টের দাবি ভুয়ো ও বিভ্রান্তিকর। সি পেন নামের অমেরুদণ্ডী সামুদ্রিক প্রানির ছবিকে নাগা পুশ ফুল দাবি করে ভুয়ো পোস্ট ভাইরাল করা হচ্ছে।

তথ্য যাচাই
এই দাবির সত্যতা যাচায় করতে ছবিটিকে গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চ করি। ফলাফলে, littlething নামের এক পোর্টালে এই ছবির উল্লেখ পাই। এই প্রতিবেদন অনুযায়ী, এটি কোনও ফুল নয়, এটি একটি বিরল প্রাণী যার নাম হল ‘সি পেন’। ২০১৬ সালের প্রথম দিকেও এই প্রাণীর ছবিটি বিরল প্রস্ফুটিত ফুল বলে গুজব ছড়েছিল কিন্তু আসলে জীবটি আলাস্কা উপসাগর থেকে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূল বরাবর গভীর জলে পাওয়া যেতে পারে।

ভাইরাল এই ছবি কেন্দ্রিক ফ্যাক্ট চেকিং ওয়েবসাইট “স্নুপস”-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, জর্ডন জি বোরিক নামের এক ফটোগ্রাফার ছবিটি তুলেছিলেন এবং এটিকে সামুদ্রিক অমেরুদণ্ডী প্রাণী হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন যা অ্যান্থোজোয়া নামে পরিচিত। জর্ডন জি বোরিক দ্বারা আর্কাইভ ছবিটি দেখতে ক্লিক করুন এখানে।
অ্যান্থোজোয়া হল সামুদ্রিক অমেরুদণ্ডী প্রাণী যাদের ওপর সামুদ্রিক অ্যানিমোন, পাথরের প্রবাল এবং নরম প্রবাল থাকে। সি পেন হল এক ধরনের অ্যান্টোজোয়ান।
এখান থেকে প্রমানিত হয়, ভাইরাল ছবিতে দেখতে পাওয়া বস্তুটি নাগা পাশ ফুল নয় বরং সামুদ্রিক অমেরুদণ্ডী প্রাণী।
তারপর আমরা গুগলে নাগা পুশ ফুল সার্চ করলে Couroupita guianensis বা Cannonball নামের একটি গাছের সন্ধান পাই। এই গাছের ফুলের নাম হল নাগলিঙ্গপুষ্পম। এই গাছের ফুল ৩৬ বছর পর পর ফোটে না।
নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুল ও ভিত্তিহীন। সি পেন নামের অমেরুদণ্ডী সামুদ্রিক প্রানির ছবিকে নাগা পুশ নামে বিরল ফুল দাবি করে ভুয়ো পোস্ট ভাইরাল করা হচ্ছে।

Title:সি পেন নামের সামুদ্রিক প্রাণীকে বিরল ফুল দাবি করে ভুয়ো পোস্ট ভাইরাল
Fact Check By: Nasim AResult: False