
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী এবং বর্তমান বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর একটি ছবি সম্পাদিত করে ভুয়ো দাবির সাথে শেয়ার করা হচ্ছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে শুভেন্দু হাতে একটি প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাড়িয়ে আছে এবং তার ওপর লেখা আছে “৯ বছর খেয়ে মধু এখন আমি হয়েছি সাধু”। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “৯ বছর খেয়ে মধু এখন আমি হয়েছি সাধু”।
তথ্য যাচাই করে দেখতে পেয়েছি এই দাবি ভুয়ো এবং বিভ্রান্তিকর। আসল ছবিতে শুভেন্দু একটি ব্যাঙ্কের পেমেন্ট স্লিপ হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছেন।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক জনসভায় তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, “মার কাছে সুদীপ্ত সেন-এর চিঠি আছে। যেখানে তিনি লিখেছেন তিনি শুভেন্দু অধিকারীকে তিনি ৬ কোটি টাকা দিয়েছেন। দশ বছর খেয়ে মধু মীরজাফর এখন সাজছে সাধু। তাহলে বেইমান কে?”। সেখান থেকেই অভিষেকের এই মন্তব্যকে নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় সোশ্যাল।
তথ্য যাচাই
এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে ছবিটিকে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে রিভার্স ইমেজ সার্চ করি। কোনও যথাযথ তথ্য পাওয়া যায় না। বিভিন্ন রকম কিওয়ার্ড সার্চ করে ফলাফলে একটি ফেসবুক পোস্টে আসল ছবি দেখতে পাই। ছবিটি দেখে অনুমান করা যায় শুভেন্দু একটি চেক জাতীয় কাগজ হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছেন।
এরপর শুভেন্দু অধিকারীর ফেসবুক পেজে গিয়ে তার বিভিন্ন জনসভার ভিডিও খতিয়ে দেখে পোস্টের ছবির সাথে মিল খোঁজার চেষ্টা করি। ২ ফেব্রুয়ারির দক্ষিণ ২৪ পরগণার বারুইপুরর বিজেপির জনসভার লাইভ ভিডিওতে এই প্ল্যাকার্ড দেখতে পাওয়া যায়। ঠিক ৫ মিনিট ১০ সেকেন্ডে এই প্ল্যাকার্ডটিকে স্পষ্ট দেখা যায়। শুভেন্দুর বক্তব্য অনুযায়ী এটি একটি পেমেন্ট স্লিপ। তিনি বলেন, “কয়লার লালার টাকা কোথায় কোথায় যায়? থাইল্যান্ডে যায়। থাইল্যান্ডে রাজধানী ব্যাঙ্ককে যায়। কাশিকর্ণ ব্যাঙ্কের শাখাতে যায়। সেদিন বলেছিলাম না তমলুকে দেখাবো এই যে। কয়লার টাকা কোথা যায় আমি নিয়ে এসেছি প্রমাণটা।“
নিচে ওই লাইভ ভিডিওটি দেওয়া হল।
এরপর পোস্টের ছবির সাথে আসল ছবিকে তুলনা করে ব্যাপারটি আরও স্পষ্ট হয়ে যায়।
নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুল। আসল ছবিতে শুভেন্দু একটি ব্যাঙ্কের পেমেন্ট স্লিপ হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছেন।