
একজন মহিলা পুলিশ কর্মীর মৃতদেহের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে ভুয়ো দাবি করা হচ্ছে, পাঞ্জাবের মহিলা পুলিশ কনস্টেবলকে ধর্ষণ এবং হত্যা করে রাস্তার ধারে ফেলে দেওয়া হল। পোস্টটিতে মোট চারটি ছবি শেয়ার করা হয়েছে তার মধ্যে দুটি ছবিতে পুলিশ উইনিফর্ম পরা একজন মহিলার দেহ দেখা যাচ্ছে। অন্য দুটিতে মৃত এই পুলিশ কর্মীর আইডি কার্ডের ছবি রয়েছে। ক্যাপশনে লেখা রয়েছে,
“মোদির বেটি বাঁচাও প্রকল্পে বিজেপি সফল উত্তর প্রদেশ মধ্য প্রদেশের পর এবার পাঞ্জাবেও পুলিশ কনস্টেবল ধর্ষণের হাত থেকে রেহায় পেল না
জঙ্গলে খালের পাশে মৃত্যু দেহটি পড়ে থাকার পরেও গদি মিডিয়া পুলিশ নামের গুন্ডা ঘটনাটিকে সড়ক দূর্ঘটনা বলে চালানোর চেষ্টা করছে! প্রশ্ন থেকে যায় যে সকল আবাল মুর্খ গুলো তিন তালাক বিলের সমর্থনে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদের ঝড় তুলেছিল” আজ তাদের ভূমিকা নীরব কেন! চিন্তা করার কিছু নেই আজ উত্তর প্রদেশ মধ্য প্রদেশ পাঞ্জাবে ধর্ষণ প্রকল্প দেখে মজা নিচ্ছ” আগামীকাল পশ্চিমবঙ্গ সহ সারা ভারতবর্ষে বিজেপি র’ এই বেটি বাঁচাও এর নামে ধর্ষণ প্রকল্প চলবে’ কারন উত্তর প্রদেশ মধ্য প্রদেশ পাঞ্জাবের থেকেও বাংলাতে এক প্রকার মানুষ রুপি ভয়ঙ্কর ধর্ষক জানোয়ার রয়েছে” শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা!”
ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো তথ্য যাচাই করে দেখতে পেয়েছে এই দাবি ভুয়ো এবং বিভ্রান্তিকর।

তথ্য যাচাই
অনুসন্ধানের শুরুতে গুগলে কিওয়ার্ড সার্চ করে সংবাদমাধ্যম ‘পাঞ্জাব কেশরী (আর্কাইভ)’ এবং ‘দ্যা ট্রিবিউন (আর্কাইভ)’ এর প্রতিবেদন থেকে জানতে পারি, পথ দুর্ঘটনায় পাঞ্জাবের এক মহিলা কনস্টেবলের মৃত্যু হয়। এই দুর্ঘটনার সময় ওই পুলিশ কর্মী তার অ্যাক্টিভা স্কুটিতে ছিলেন। স্বর্ণ মন্দিরের কাছে তার ডিউটিতে যাচ্ছিলেন তিনি। এই প্রতিবেদনে মৃতার নাম দেওয়া রয়েছে। এই নামের সাথে পোস্টের ছবির আইডি কার্ডের নাম মিলে যায়।
এরপর আমরা খবরটির সত্যতা যাচাই করার জন্য ঝোন্ডা থানার অ্যাসিস্টেন্ট ইন্সপেক্টর অবতার সিং কহলোনের সাথে যোগাযোগ করি। তিনি আমাদের জানান,
“সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া দাবিটি ভুল। এই ঘটনার সাথে ধর্ষণ বা হত্যার কোনও সম্পর্ক নেই। ছবির মহিলা পুলিশ কনস্টেবল পথ দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। তিনি একটি অ্যাক্টিভা স্কুটি চালাচ্ছিলেন। তার স্কুটির সাথে একটি স্করপিওর সংঘর্ষ হয় এবং সেখানেই তিনি প্রান হারান। মজুপুরা গ্রামের পাশে এই ঘটনাটি ঘটে।“
তিনি আমাদের দুর্ঘটনার পরের মৃত পুলিশকর্মীর কিছু ছবি এবং এই ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্ট আমাদের পাঠান।



Fact Check: হাথরাস নির্মম ধর্ষণ কান্ডের অভিযুক্ত সন্দীপের বাবা দাবি করে ভুয়ো ছবি শেয়ার
নিষ্কর্ষঃ তথ্য যাচাই করে ফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো সিদ্ধান্তে এসেছে উপরোক্ত দাবিটি ভুল। একটি পথ দুর্ঘটনার ছবিকে ধর্ষণ এবং হত্যার ঘটনা দাবি করে ভুয়ো পোস্ট শেয়ার করা হচ্ছে।

Title:পথ দুর্ঘটনার ছবিকে ধর্ষণের ঘটনা দাবি করে ভুয়ো পোস্ট শেয়ার
Fact Check By: Rahul AResult: False